নেপালে বাস দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৭

মহারাষ্ট্র থেকে তীর্থযাত্রার উদ্দেশে তিনটি বাসে করে নেপালে রওনা দিয়েছিল ১০৪ জন ভারতীয়ের দল। দু’দিন আগেই উত্তরপ্রদেশ থেকে তারা পোখরায় পৌঁছায়। শুক্রবার সকালে পোখরার রিসর্ট থেকে কাঠমাণ্ডুর উদ্দেশে যাওয়ার পথেই ভয়াবহ দুর্ঘটনা। প্রবল বৃষ্টিতে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ১৫০ ফুট নীচে নদীতে পড়ল বাস। কাঠমাণ্ডু থেকে ১২০ কিলোমিটার দূরে তানাহুনের মারশিংডিতে এই দুর্ঘটনা ঘটে। শুক্রবার মধ্যরাত পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ২৭।  জানা যাচ্ছে, দুর্ঘটনাগ্রস্ত বাসে ৪৩ জন ভারতীয় ছিলেন। তিনটি বাসে করে ১০৪ জন ভারতীয় ১০ দিনের সফরে নেপালে এসেছিলেন। সেই দলেরই ৪৩ জন শুক্রবার সকালে পোখরা থেকে কাঠমান্ডুর উদ্দেশে রওনা দিয়েছিলেন। সাড়ে ১১টা নাগাদ দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় বাসটি নদীতে পড়ে যায়। ভারতীয় দূতাবাসের তরফে জানানো হয়েছে, নেপাল প্রশাসনের সঙ্গে কথাবার্তা চলছে। স্থানীয় প্রশাসনই উদ্ধার ও ত্রাণকাজ চালাচ্ছে। তানাহুনের ডিএসপি শৈলেন্দ্র থাপা জানান, ১৮টি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। জখম ১৬ জনকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তাঁদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা সঙ্কটজনক। তানাহুনের জেলা আধিকারিক জনার্দন গৌতম ২৭ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন। এখনও বেশ কয়েকজন নিখোঁজ। এসএসপি মহাদেব পাউড়েলের নেতৃত্বে মোট ৪৫ জনের দল তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে। নেপাল সেনার এমআই ১৭ কপ্টারও আনবু খাইরেনির ওই দুর্ঘটনাস্থলে টহল দিচ্ছে।   পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, বাসটিতে উত্তরপ্রদেশের নম্বর প্লেট রয়েছে।  কাঠমাণ্ডু হয়ে বাসটির গোরক্ষপুরে ফেরার কথা ছিল। উত্তরপ্রদেশ সরকারের তরফে উদ্ধারকাজ তদারকির জন্য অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট পদমর্যাদার এক অফিসারকে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে। উত্তরপ্রদেশের ত্রাণ বিভাগের কমিশনার জি এস নবীন কুমার বলেন, নেপাল বিদেশ মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়, এদিন সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ ৪৩ জন যাত্রীবাহী একটি বাস ১৫০ ফুট নীচে মারশিংডি নদীতে পড়ে যায়। দুর্ঘটনাগ্রস্তদের সকলেই মহারাষ্ট্রের বাসিন্দা বলে মনে করা হচ্ছে। গত মাসেই নেপালের চিতওয়ানে ধসের জেরে ত্রিশুলী নদীতে ভেসে গিয়েছিল দু’টি বাস। মৃত্যু হয় সাতজন ভারতীয়ের। বাস দু’টির ৬৫ জন যাত্রীর অনেকেই এখনও নিখোঁজ। 

error: Content is protected !!