গুজরাত টাইটান্স: ২৩১/৩ (শুভমান ১০৪, সুদর্শন ১০৩, তুষার ৩৩/২),
চেন্নাই সুপার কিংস: ১৯৬/৮ (মিচেল ৬৩, মইন ৫৬, মোহিত ৩১/৩),
৩৫ রানে ম্যাচ জিতল গুজরাত টাইটান্স।
গুজরাতের কাছে হেরে প্লে অফের রাস্তা কঠিন চেন্নাই সুপার কিংস-এর। এদিন টসে জিতে প্রথমে বল করার সিদ্ধান্ত নেন চেন্নাই অধিনায়ক রুতুরাজ গায়কোয়াড়। গত আইপিএলেও ঠিক একই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ধোনি। কিন্তু এদিনের সিদ্ধান্ত বুমেরাং হয়ে গেল তাঁদের জন্য। ওপেনিং জুটিতে জোড়া সেঞ্চুরি হাঁকালেন শুভমান গিল আর সাই সুদর্শন। প্রথম উইকেটে দুজনে মিলে তুললেন ২১০ রান। সেই সঙ্গে প্রায় ভেঙে ফেলেছিলেন ওপেনিং জুটিতে আইপিএলে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড। ২০২২ সালে কলকাতার বিরুদ্ধে লখনউয়ের ডি কক ও কেএল রাহুল অপরাজিত ছিলেন ২১০ রানে। অল্পের জন্য সেই রেকর্ড ভাঙতে পারলেন না গুজরাতের দুই ব্যাটার। আইপিএলে চতুর্থ সর্বোচ্চ পার্টনারশিপ গড়েই সন্তুষ্ট থাকতে হল তাঁদের। কিন্তু দুজনের দাপট নীরব করে দিল চেন্নাইয়ের বোলারদের। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দলে প্রথম ১৫-তে ঠাঁই হয়নি শুভমানের। এদিনের সেঞ্চুরি যেন তারই জবাব। উদযাপনও করলেন অত্যন্ত আগ্রাসী মেজাজে। তার ঠিক চার বল পরেই ছক্কা হাঁকিয়ে শতরানে পৌঁছে যান সুদর্শন। গত বারের আইপিএল ফাইনাল শতরান থেকে মাত্র ৪ রান দূরে থেমেছিল তাঁর ইনিংস। এদিন শতরান করেই থামলেন তিনি। কিন্তু ১৮ তম ওভারে তুষার দেশপাণ্ডের বলে ফিরে যান দুজনেই। শেষ তিন ওভারে মাত্র ১২ রান উঠল। শেষ পর্যন্ত তিন উইকেট হারিয়ে গুজরাট থামে ২৩১ রানে। বোলিংয়ের শুরুটাও ভালোই করেছিল গুজরাট। মাত্র ১০ রানের মাথায় ৩ উইকেট হারায় চেন্নাই। রাহানে, রাচীন রবীন্দ্র ও রুতুরাজ তিনজনেই ব্যর্থ। ধারাবাহিক ব্যাটিং বিপর্যয়ে বিধ্বস্ত চেন্নাইকে ম্যাচে ফেরার রাস্তা করে দেন ড্যারিল মিচেল ও মইন আলি। কিন্তু তাঁরা ফিরে যেতেই হারের অন্ধকার নেমে এল চেন্নাই শিবিরে। ব্যাট-বলের সঙ্গে দুরন্ত ফিল্ডিংয়েও ম্যাচের পার্থক্য গড়ে দিল গুজরাত শেষ বেলায় ধোনি ম্যাজিকও হাল ফেরাতে পারল না। চেন্নাই ম্যাচ হারল ৩৫ রানে।