এটা এক্সিট পোল নয়, মোদির মিডিয়া পোল: রাহুল

টিভি চ্যানেলে দেখানো সংখ্যা নয়, মানুষের সমর্থনের আশাতেই এখনও আত্মবিশ্বাসী মহাজোট ‘ইন্ডিয়া’। তাদের বিশ্বাস, বিরোধী দলের কর্মীদের মনোবল ভেঙে দেওয়ার জন্যই এই এক্সিট পোল ‘সাজিয়েছে’ বিজেপি। আর এই বিশ্বাস কংগ্রেস, সমাজবাদী পার্টি, তৃণমূল-প্রত্যেকের। রীতিমতো ব্যঙ্গের সুরে সেই প্রত্যয়েই সিলমোহর দিয়েছেন রাহুল গান্ধী। রবিবার এই ইস্যুতে তাঁর বক্তব্য, ‘এটা এক্সিট পোল নয়। মোদি মিডিয়া পোল। কল্পিত ফলাফল। ৪ জুন ইন্ডিয়া কমপক্ষে ২৯৫ আসন পাবেই।’ এআইসিসির মুখপাত্র পবন খেরারও কটাক্ষ, ‘এক্সিট পোল নয়, এন্টারটেনমেন্ট। না হলে রাজস্থানে যেখানে মোট আসনই ২৫, সেখানে কয়েকটা এক্সিট পোলে দেখানো হয়েছে বিজেপি পাচ্ছে ৩৩ আসন! এর চেয়ে বড় রসিকতা আর কী আছে?’ অভিষেক মনু সিংভির সওয়াল, ‘বাংলায় ২০২১ সালে এক্সিট পোল দেখিয়েছিল, বিজেপি অনেক আসন পাচ্ছে। পেয়েছে কি? এবারও সেটাই হবে। মঙ্গলবার সম্পূর্ণ উল্টো ফল দেখবে দেশ। বিজেপিকে বিদায় দেওয়ার ফল।’ বিরোধীদের দাবি, এই বুথফেরত সমীক্ষার কোনও ভিত্তি নেই। এক-দু’মাস আগে ঘরে বসে বানানো। সেটাই এখন টিভি চ্যানেলগুলোকে দিয়ে ছড়ানো হয়েছে। কেন? কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশের ব্যাখ্যা, বিজেপিকে সব মিডিয়া জিতিয়ে দিলে, তার নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বিরোধী দলের কর্মী-সমর্থকদের উপর। গণনার দিন তাঁরা হতাশায় প্রথমেই ব্যাকফুটে চলে যাবেন। রমেশ বলেন, ‘পুরোটা সাইকোলজিক্যাল গেম। এভাবে মনোবল ভাঙা যাবে না। কারণ, জনতা বুঝিয়ে দিয়েছে, ৪ জুন নরেন্দ্র মোদি প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী হয়ে যাচ্ছেন। ক্ষমতায় আসছে ইন্ডিয়া।’ সপা সুপ্রিমো অখিলেশ যাদবের বক্তব্য, ‘বিজেপি ভালোই জানে যে, চণ্ডীগড় মেয়র নির্বাচনের মতো লোকসভায় গোটা দেশের ফল বদলানো যাবে না। আসলে ক্ষমতা থেকে যাওয়ার আগে এক্সিট পোল দেখিয়ে সোমবার শেয়ার বাজারে কিছু লাভ করে নিতে চাইছে বিজেপি।’ অখিলেশের অভিযোগ, ‘এক্সিট পোলের এই হিসেব ইভিএমের নয়, ডিএমের। জেলাশাসকদের হুমকি দিয়ে প্রভাবিত করা হয়েছে। তবে প্রশাসন যেন ভুলে না যায়, জনগণের শক্তির থেকে বড় কিছু হতে পারে না।’ তাঁর সুরেই জয়রামের অভিযোগ, ‘অমিত শাহ দেশের ১৫০ জন জেলাশাসকের সঙ্গে কথা বলে কারসাজি করতে চাইছেন।’ তাই নিরপেক্ষ গণনার দাবিতে রবিবার বিকেলে জোটের নেতারা নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হন। তাঁরা জানিয়ে আসেন, ‘পোস্টাল ব্যালট আগে গুনতে হবে। তারপর ইভিএম। স্ট্রং রুম থেকে গণনার টেবিলে কন্ট্রোল ইউনিট নিয়ে আসার পুরো প্রক্রিয়া সিসিটিভি ক্যামেরায় রেকর্ড করতে হবে।’ এই পরিস্থিতিতে আজ, সোমবার ফের একজোট হচ্ছেন মহাজোটের নেতারা। ডিএমকের প্রতিষ্ঠতা করুণানিধির জন্মশতবর্ষের অনুষ্ঠান উপলক্ষ্যে দিল্লিতেই ফের মুখোমুখি হবেন তাঁরা। থাকবে তৃণমূলও। ভোটের ফল বেরনোর মুহূর্ত থেকে ব্লু-প্রিন্ট তৈরি রাখাই উদ্দেশ্য ‘ইন্ডিয়া’র। 

error: Content is protected !!