মুম্বইয়ের মাঠে মুম্বই বধ, রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে ২৪ রানে জয়ী কলকাতা নাইট রাইডার্স

রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে ২৪ রানে জয়ী কলকাতা নাইট রাইডার্স। এদিন কেকেআর বোলাররা শুরু থেকেই উইকেট তুলে নিয়ে চাপ দিতে শুরু করে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স শিবিরে৷ নিন্দের পাহাড় চুড়োর তলায় থাকা স্টার্ক বোঝালেন কেন তিনি জাত বোলার৷ চাপের মুখে তিনি এদিন প্রথমেই ইশান কিষানকে আউট করে দেন৷ তিনি এদিন টসে হারার পর কেকেআরকে ব্যাট করতে পাঠায় মুম্বই ইন্ডিয়ান্স৷  ভেঙ্কটেশ আইয়ার ও সুপার সাব মণীশ পাণ্ডে ছাড়া পুরো ব্যর্থ কেকেআরের ব্যাটিং অর্ডার। শেষ পর্যন্ত ১৯.৫ ওভারে  ১৬৯ রান অল আউট হয়ে যায় কেকেআর৷ ঘরের মাঠে টস জিতে প্রথমে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেয় মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। এদিন কেকেআরের ব্যাটিং অর্ডারে শুরু থেকেই ধস নামে। একের পর এক উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় নাইটরা। ৫৭ রানের মধ্যে কেকেআরের অর্ধেক টিম সাজঘরে ফেরত চলে যায়। ফিল সল্ট ৫, সুনীল নারিন ৮, আংক্রিশ রঘুবংশী ১৩, শ্রেয়স আইয়ার ৬, রিঙ্কু সিং ৯ রান করে আউট হন। টপ অর্ডারের ৩টি উইকেট নেন নুয়ান তুশারা। একদিক থেকে ইনিংস ধরে রাখেন ভেঙ্কটেশ আইয়ার। তাকে সঙ্গে দেন ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার হিসেবে নামা মনীশ পাণ্ডে। দুজনের ব্যাটে ভর করে কিছুটা ম্যাচ ফেরে কেকেআর। প্রয়োজন মত আক্রমণাত্মক শটও খেলেন দুই অভিজ্ঞ ব্যাটার। নিজের অর্ধশতরান পূরণ করেন ভেঙ্কটেশ আইয়ার। ভেঙ্কটেশ আইয়ার ও মণীশ পাণ্ডে মিলে ৮৩ রানের পুার্টনারশিপ করেন। ৪২ রান করে আউট হন মণীশ পাণ্ডে৷ জুটি ভাঙতেই ফের ধস নামে কেকেআরের ব্যাটিংয়ে। ভেঙ্কটেশ আইয়ারের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝির কারণে ৭ রান করে রান আউট হন আন্দ্রে রাসেল। রমনদীপ সিং ২ ও মিচেল স্টার্ক খাতা না খুলেই বুমারাহের শিকার হন। শেষ পর্যন্ত ৭০ রান করে জসপ্রীত বুমরাহের তৃতীয় শিকার হন ভেঙ্কটেশ আইয়ার। ১৯.৫ ওভারে ১৬৯ রানে অলআউট হয়ে যায় কেকেআর। এই রান নিয়ে মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে লড়াই করার কাজটা যথেষ্ট কঠিন। যত খারাপ ফর্মেই থাকুক না কেন, ঘরের মাঠে তারাও জিততে মরিয়া ছিল। খাতায়-কলমে প্লে অফে ওঠার অঙ্ক হার্দিকের কাছেও রয়েছে। কিন্তু কেন তারা লিগ টেবিলে নয় নম্বরে স্থানে রয়েছে, তা আবার প্রমাণ করে দিলেন হার্দিক পাণ্ডিয়ারা। একের পর এক উইকেট পড়ল মুম্বইয়ের। তাদেরও ডোবাল টপ অর্ডার। ঈশান কিশান, রোহিত শর্মা, নমন ধীর সকলেই অল্প রানে ফিরে গেলেন। অধিনায়ক হার্দিক পাণ্ডিয়ার অবস্থাও আলাদা কিছু নয়। সুনীল নারিন আর বরুন চক্রবর্তীর স্পিন মন্ত্রে রীতিমত দিশেহারা দেখাচ্ছিল মুম্বই ব্যাটিংকে। একমাত্র সূর্যকুমার যাদব কিছুটা চেষ্টা করলেও সেটা যথেষ্ট ছিল না। বিশ্বকাপের আগে তাঁকে বিধ্বংসী ফর্মে দেখে খুশি হবেন দেশের ক্রিকেটভক্তরা। কিন্তু মুম্বই সমর্থকদের মুখে হাসি ফুটল না। তিনি ফিরে গেলেন ৫৭ রান করে। আর সূর্যের আলো নেভার সঙ্গেই প্লে অফের মেরিন ড্রাইভে অন্ধকার নেমে এল মুম্বইয়ের জন্য। শেষ পর্যন্ত কলকাতা জিতল ২৪ রানে।

error: Content is protected !!