বিশ্বাসঘাতকতার বদলা! মহারাষ্ট্রে বিজেপি শিণ্ডের এনডিএ-কে ছাপিয়ে গেল এনসিপি-উদ্ধবের ইন্ডিয়া!

উত্তরপ্রদেশ ৮০টি আসন ৷ তারপরেই মহারাষ্ট্রের ৪৮৷ জাতীয় রাজনীতি বিজেপির ‘৪০০ পাড়ের’ স্বপ্নপূরণে তাই মহারাষ্ট্রের ভূমিকা ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ৷ কিন্তু, লোকসভা নির্বাচনে বোধহয় উদ্ধব ঠাকরেদের ‘বিশ্বাসঘাতকতা’র বদলা নিল মহারাষ্ট্রবাসীরা৷ শুধুমাত্র ভাল ফলাফলই নয়, বিজেপির চেয়ে এগিয়ে গেল ইন্ডিয়া জোট৷ শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, মহারাষ্ট্রের ৪৮ আসনের মধ্যে উদ্ধব ঠাকরের শিবসেনা-এনসিপির ইন্ডিয়া জোট এগিয়ে রয়েছে ৩১টি আসনে৷ শিণ্ডের শিবসেনা আর বিজেপির এনডিএ ১৬টিতে৷ অন্যান্য এগিয়ে ১টিতে৷ গুরুত্বপূর্ণ প্রার্থীদের মধ্যে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযূষ গোয়েল এগিয়ে রয়েছেন মুম্বই নর্থ আসন থেকে৷ এনসিপি প্রধান শরদ পওয়ারের মেয়ে সুপ্রিয়া সুলে এগিয়ে রয়েছেন বারামতি কেন্দ্র থেকে৷ তাঁর বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছিলেন উপ মুখ্যমন্ত্রী অজিত পওয়ারের স্ত্রী সুনেত্রা৷ বারামতী থেকে পিছেয়ে রয়েছেন তিনি৷ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিতিন গডকড়ি এগিয়ে রয়েছেন নাগপুর কেন্দ্র থেকে৷ বিড লোকসভা কেন্দ্র থেকে পিছিয়ে রয়েছেন বিজেপির পঙ্কজা মুণ্ডে৷ উদ্ধবপন্থী সেনার একনিষ্ঠ কর্মী সঞ্জয় রাউত ট্রেন্ডের প্রেক্ষিতে বলেন, ‘‘মহা বিকাশ আগাড়ি জোটই (উদ্ধব ঠাকরের শিবসেনা (ইউবিটি) এবং শরদ পওযারের এনসিপি) জিতবে মহারাষ্ট্রে৷ দেশজুড়ে ইন্ডিয়া জোট জিতবে ২৯৫টি আসনে৷’। ২০১৪-র লোকসভা নির্বাচন হোক কী ২০১৯-এর মহারাষ্ট্র নিয়ে বিশেষ চিন্তায় ছিল না বিজেপি৷ কারণ, বালাসাহেব ঠাকরের উত্তরসূরী উদ্ধব ঠাকরের হাত ছিল তাদের সঙ্গে৷ কিন্তু, ২০১৯ এবং ২০২৪ এর মাঝখানে অনেক কিছু ঘটে গেছে মহারাষ্ট্রের রাজনীতিতে৷ ভেঙে দু’টুকরো হয়েছে উদ্ধবের শিবসেনা, হয়েছে শরদ পওয়ারের এনসিপি-ও৷ উদ্ধব ঠাকরে হারিয়েছে দলের নাম এবং চিহ্ন৷ বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়ে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে তাঁকে উৎখাত করেছেন একনাথ শিণ্ডে৷ অন্যদিকে, কাকা-ভাইপোর মধ্যে উষ্মাকে ধুনো দিয়ে এনসিপিতে-ও ভাঙন ধরিয়েছে গেরুয়া শিবির৷ তা সত্ত্বেও, রাজনীতির কারবারিরা আন্দাজ করছিলেন, উনিশের মতো ৪৮টি আসনের মধ্যে ৪২টাই দখল করা ততটা সহজ হবে না নয় বিজেপি জোটের জন্য৷ বরং, মাটি কামড়ে, এক ইঞ্চি জমির জন্য জান লড়িয়ে দেবে উদ্ধব-পওয়াররা৷ বাস্তবে হয়েছেও তা-ই৷ তার উপরে নির্বাচিত সরকার ‘ষড়যন্ত্র’করে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ তুলেছিল উদ্ধবের শিবসেনা, এনসিপি৷ তাদের সেই ‘বিশ্বাসঘাতকতা’ শিকার হওয়ার প্রচারও কাজে এসেছে বলে মনে করছেন রাজনীতির কারবারিদের একাংশ৷

error: Content is protected !!