‘আপনিই আমাদের ভরসা’, মুখ্যমন্ত্রীকে বললেন রামকৃষ্ণ মিশনের সন্ন্যাসীরা

‘আপনিই আমাদের ভরসা’। স্রেফ সংবর্ধনা দেওয়া নয়, কলকাতায় স্বামীজীর বাড়ির সৌন্দর্যায়ন ও মিউজিয়ামের জন্য় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আর্থিক সাহায্যও চাইলেন রামকৃষ্ণ মিশনের সন্ন্যাসীরা। তৃণমূলনেত্রী বললেন, ‘আপনাদের পাশে আছি’। ভোটের প্রচারে এই রামকৃষ্ণ মিশনের বিরুদ্ধেই ‘রাজনৈতিক পক্ষপাতিত্বে’র অভিযোগ করেছিলেন মমতা। ১৮ মে আরামবাগের গোঘাটের নির্বাচনী জনসভায় তিনি বলেন, ‘আমি আইডেন্টিফাই করেছি কে কে করেছেন। আসানসোলে একটা রামকৃষ্ণ মিশন রয়েছে। আমি রামকৃষ্ণ মিশনকে কী হেল্প করিনি! সিপিএম যখন খাবার বন্ধ করে দিয়েছিল, আপনাদের অস্তিত্ব নিয়ে, স্বাধিকার নিয়ে… তখন কিন্তু আমি পুরো সমর্থন দিয়েছিলাম। মা-বোনেরা আসত। তারা তরকারি কেটে দিত। সিপিএম কিন্তু আপনাদের কাজ করতে দিত না’। সমালোচনা করেছিলেন ভারত সেবাশ্রম সংঘের সাধু কার্তিক মহারাজ ও ইস্কনের ভূমিকারও। সেই মন্তব্যে বিতর্ক কিছু কম হয়নি। তৃণমূলনেত্রীকে নিশানা করেছিলেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী। এরপর আজ, বুধবারই প্রথম রামকষ্ণ মিশনের কোনও প্রতিষ্ঠানে গেলেন মমতা। শ্য়ামবাজার পাঁচ মাথার মোড় থেকে রোড-শো করলেন সিমলা স্ট্রিটে স্বামী বিবেকানন্দের বাড়ি পর্যন্ত। স্বামীজীর মূর্তিতে মালা দিয়ে শ্রদ্ধা জানান তৃণমূলনেত্রী। স্বামীজির বাড়িতে মমতাকে সংবর্ধনা দেন রামকৃষ্ণ মিশনের সন্ন্যাসীরা। বলেন, ‘আপনিই আমাদের ভরসা। সংঘের অবস্থা ভালো নয়। স্বামীজির বাড়ির চারপাশে  সৌন্দর্যায়ন ও মিউজিয়ামের জন্য যদি আর্থিক সাহায্য দেন, তাহলে ভালো হয়’। পাশে থাকার আশ্বাস দেন তৃণমূলনেত্রীও। এর আগে, গতকাল মঙ্গলবার শ্যামবাজার পাঁচ মাথার  মোড় থেকে সিমলা স্ট্রিট পর্যন্ত রোড-শো করেছিলেন মোদী। শ্যামবাজারে তখন নেতাজি মূর্তি মালা দিচ্ছেন। মমতা বলেন, ‘ভোটের সময় লোক দেখাতে নেতাজির মূর্তি মালা দিতে আসতে পারেন প্রধানমন্ত্রী, কিন্তু তাঁর জন্মদিনকে স্বীকৃতি দিতে পারেন না! জাতীয় ছুটির দিন ঘোষণা করেনি। নেতাজির অন্তর্ধান আজও খুঁজে পাওয়া গেল না! আমরা সব ফাইল খুলে দিলাম। কেন্দ্রীয় সরকার কিছু করেনি’। 

error: Content is protected !!