রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু: ২১৮/৫ (কোহলি-৪৭, ডু প্লেসিস-৫৪, শার্দূল- ৬১/২)
চেন্নাই সুপার কিংস: ১৯১/৭ (রাচীন-৬১, জাদেজা-৪২*, দয়াল-৪২/২)
২৭ রানে জয়ী রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু
রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর টানা ৬ ম্যাচ জিতে আইপিএল প্লে অফে জায়গা করে নিল। আইপিএলের ডু অর ডাই ম্যাচে চেন্নাই সুপার কিংসকে ২৭ রানে পরাজিত করে চতুর্থ স্থানে থেকে প্লে অফের টিকিট জিতেছে আরসিবি। এম চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে খেলা এই হাই-স্কোরিং ম্যাচে আরসিবি ব্যাটসম্যানরা বড় স্কোর খাঁড়া করেন। এর পর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে সিএসকে। আরসিবি ১৪ ম্যাচে ১৪ পয়েন্ট তুলেছে। পয়েন্ট টেবিলে চতুর্থ স্থানে পৌঁছে চেন্নাইকে ছাপিয়ে গিয়েছে। এই হারের পর সিএসকে-এর প্লে অফে ওঠার স্বপ্ন ভেঙে গেল। শেষ ওভারে খেলা ঘুরিয়ে দেন যশ দয়াল। ২১৯ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে গিয়ে সিএসকে খুব খারাপ শুরু করে। রুতুরাজ গায়কওয়াড়ের নেতৃত্বে চেন্নাই ৭ উইকেটে ১৯১ রান করতে পারে। ওভারের প্রথম বলেই যশ দয়ালের বলে গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের হাতে ক্যাচ দিয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন রুতুরাজ। ব্যক্তিগত ২১ রানে ড্যারিল মিচেলকে প্যাভিলিয়নে পাঠান যশ দয়াল। ২২ বলে ৩৩ রান করে আউট হন অজিঙ্কা রাহানে। ৩৭ বলে ৬১ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন রচিন রবীন্দ্র। ১৫ বলে ৭ রান করে আউট হন শিবম দুবে। মিচেল স্যান্টনার ৩ রানে ডু প্লেসিসের হাতে ক্যাচ দেন।অধিনায়ক ফাফ ডু প্লেসিসের (৫৪ রান) নেতৃত্বে আরসিবি টপ অর্ডার দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করে। আরসিবি ৫ উইকেটে ২১৮ রান করে। ডু প্লেসিস (৩৯ বলে ৫৪, তিনটি চার, তিনটি ছক্কা), বিরাট কোহলি (৪৭ রান ২৯ বলে), রজত পতিদার (৪১ রান, ২৩ বলে) এবং ক্যামেরন গ্রিন (৩৮ অপরাজিত, ১৭ বলে)। এদিন বৃষ্টির কারণে ৪০ মিনিটের জন্য খেলা বন্ধ রাখতে হয়েছিল। বৃষ্টি বিরতির পরে সিএসকে স্পিনারদের কাজে লাগায়। বল টার্ন করতে শুরু করেছিল। ফলে আরসিবি ব্যাটারদের দ্রুত রান করা কঠিন হয়ে পড়েছিল।পাওয়ারপ্লেতে ৪২ রান করে আরসিবি। কোহলির আউটের পর আরসিবির স্কোর ১০ ওভারে এক উইকেটে ৭৮। সেখান থেকে ২০০ রানের গণ্ডি পেরিয়ে যায় আরসিবি।