‘আমরা যোগ্যেরা কী দোষ করলাম? যোগ্য-অযোগ্য এক ফল? সিবিআই তবে করল কী?’প্রশ্ন চাকরিহারাদের

এতদিন শহীদ মিনারে চাকরির দাবিতে ধর্না হচ্ছিল। আর এবার ন্যায় বিচারের দাবিতে ধর্নায় বসেছেন চাকরিহারাদের একাংশ। সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে চাকরিচ্যুত হয়েছেন প্রায় ২৬ হাজার জন। হাইকোর্টের প্রায় ৩০০ পাতার একটি রায়ে চাকরিচ্যুত হয়েছেন ২৫ হাজার ৭৫৩ জন। মঙ্গলবার ন্যায় বিচারের দাবিতে তাঁদেরই কয়েকজন শহীদ মিনারের সামনে ধর্নায় বসেছেন। জানা গেছে, তারা ধর্নার পাশাপাশি সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হওয়ার কথাও ভাবছেন।মঙ্গলবার সকাল থেকে চাকরিহারাদের একাংশ শহীদ মিনারের সামনে উপস্থিত হতে শুরু করেন। চাকরিহারাদের বক্তব্য, তারা অবৈধ উপায়ে চাকরী পায়নি। তাঁদের ওএমার শিটের নম্বর সবার সামনে প্রকাশ করা হয়েছিল। তাহলে কেন তারা অবৈধ উপায়ে পাওয়া চাকরি প্রার্থীদের সঙ্গে শাস্তি পাবে?মঙ্গলবার শহীদ মিনারে জমায়েত করার কারণ হিসাবে তাঁরা জানিয়েছেন, তাঁদের চাকরি হারিয়েছে। তাঁরা একসঙ্গে বসে এবার ভবিষ্যৎ ঠিক করবে। পাশাপাশি, সুপ্রিম কোর্টে গেলে অনেক অর্থের প্রয়োজন। সেই কারণে তাঁরা সবাই মিলে ঠিক করবে কে কিভাবে সাহায্য করবে। প্রত্যেকটা জেলার শিক্ষক সেখানে গিয়েছে, যাদের গতকাল চাকরি গেছে। আন্দোলনকারীদের দাবি, ২০১৯ সালে ২৬ ফেব্রুয়ারি তাঁরা শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন। তাঁদের যোগ্যতা প্রমাণ করেই চাকরিটা দেওয়া হয়েছে। প্রথম প্যানেলেই তাঁদের নাম উঠেছে। যোগ্যতার মাপকাঠিতেই চাকরি পেয়েছে তাঁরা এবং এই সংখ্যাটা প্রায় ১৯ হাজারের বেশি। চাকরি হারিয়ে আজ দিশেহারা তাঁরা। তাই ভবিষ্যৎ ঠিক করতে জমায়েত হয়েছে। সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি মহম্মদ শাব্বর রশিদির ডিভিশন বেঞ্চ এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলার রায় দান করে। ২০১৬ সালের গ্রুপ সি, গ্রুপ ডি কর্মী নিয়োগ, নবম-দশম, একদশ-দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগ – পুরো প্যানেলই এদিন বাতিল করে দিয়েছে আদালত। প্রায় ২৫,৭৫৩ জনের চাকরি বাতিল করা হয়েছে। আদালত জানিয়েছে এসএসসি প্যানেলের মেয়াদ শেষ হবার পরে যারা চাকরি পেয়েছে তাদের প্রাপ্ত বেতন ১২ শতাংশ সুদ সহ আগামী ৪ সপ্তাহের মধ্যে ফেরত দিতে হবে। জেলার সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের পরবর্তী ২ সপ্তাহের মধ্যে ওই টাকা আদালতের কাছে জমা দিতে হবে।

error: Content is protected !!