পঞ্জাব কিংসকে ৪ উইকেটে হারালো সানরাইজার্স হায়দরাবাদ 

পঞ্জাব কিংস: ২১৪/৫ (প্রভসিমরন ৭১, রুসো ৪৯, নটরাজন ৩৩/২)
সানরাইজার্স হায়দরাবাদ: ২১৫/৬ (অভিষেক ৬৬, ক্লাসেন ৪২, অর্শদীপ ৩৭/২)
৪ উইকেটে জয়ী সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। 

পঞ্জাবকে হারিয়ে ‘অ্যাডভান্টেজ’ সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। এদিন টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন পঞ্জাব অধিনায়ক জিতেশ শর্মা। লিগ টেবিলে নবম স্থানে পড়ে রয়েছে প্রীতি জিন্টার দল। চোটের জন্য দীর্ঘদিন ধরে দলে নেই শিখর ধাওয়ান। পাকিস্তানের জন্য সিরিজ খেলতে দেশে ফিরে গিয়েছেন স্যাম কুরানরা, বেয়ারস্টোরা। ধরেই নেওয়া হয়েছিল, হায়দবাদের পক্ষে লড়াইটা সহজ হবে। কিন্তু প্রথম থেকেই আক্রমণাত্মক খেলতে শুরু করেন প্রভসিমরন সিং (৭১) আর অথর্ব তাইডে (৪৬)। প্রথম উইকেটে উঠল ৯৭ রান। তাঁরা ফিরে যাওয়ার পর পঞ্জাবকে এগিয়ে যান রাইলি রুসো (৪৯)। দলের ভাঙা হাটে তিনিই একমাত্র বিদেশি। মাঝে নটরাজনদের বোলিংয়ে রানের গতি কিছুটা থমকে গেলেও পরে ঝোড়ো ইনিংস খেলে যান অধিনায়ক জিতেশ (৩২)। শেষ পর্যন্ত পাঞ্জাব থামে ২১৪ রানে। ঘরের মাঠে বড় রান ধাওয়া করা কঠিন ছিল না প্যাট কামিন্সদের কাছে। যদিও প্রথম বলেই ট্রেভিস হেডকে হারিয়ে কিছুটা চাপে পড়েছিল তারা। কিন্তু এদিন ফের ত্রাতা হয়ে উঠলেন অভিষেক শর্মা। চলতি আইপিএলে বারবার দুরন্ত ইনিংস খেলেও হেড-ক্লাসেনদের নামের পিছনে পড়েছিলেন তিনি। এদিনও ২৮ বলে ৬৬ রান করে গেলেন। চলতি টুর্নামেন্টে ৩৯টা ছক্কা হাঁকালেন তিনি। ভেঙে দিলেন ২০১৬ সালে বিরাট কোহলির এক মরশুমে ৩৮ ছয়ের রেকর্ড। তার পর আর ফিরে তাকাতে হয়নি হায়দরাবাদকে। প্লে অফের আগে রাহুল ত্রিপাঠি (৩৩), নীতিশ রেড্ডিদের  (৩৭) রান পাওয়া নিশ্চিত ভাবেই আশ্বস্ত করবে প্যাট কামিন্সকে। আরও একটা গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলে দিলেন ক্লাসেন (৪২)। তিনি যখন আউট হলেন, তখন ম্যাচ প্রায় হাতের মুঠোয়।  শেষ পর্যন্ত ৪ উইকেটে ম্যাচ জিতে নিল হায়দরাবাদ। সেই সঙ্গে লিগ টেবিলে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসে সাময়িক স্বস্তি পেলেন প্যাট কামিন্স। কারণ ডবল হেডারের দ্বিতীয় ম্যাচে মুখোমুখি কলকাতা আর রাজস্থান রয়্যালস। সঞ্জুরা যদি নাইটদের হারান, তাহলে তাঁরা উঠে আসবেন দ্বিতীয় স্থানে। 

error: Content is protected !!