প্রার্থীর সব সম্পত্তির খতিয়ান জানার অধিকার নেই ভোটারের, বলল সুপ্রিমকোর্ট

নির্বাচনে অংশ নেওয়া প্রার্থীদের সব সম্পত্তি সম্পর্কে জানার অধিকার নেই ভোটারদের। প্রার্থী পদের সঙ্গে সঙ্গতিহীন বিষয়গুলি গোপনীয় রাখার অধিকার রয়েছে প্রার্থীরও। মঙ্গলবার একটি মামলায় বলল সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালতের মন্তব্য, প্রার্থীদের নিজেদের বা তাঁদের পরিবারের মালিকানাধীন প্রতিটি অস্থাবর সম্পত্তি প্রকাশ করতে হবে না যদি না সেগুলি বহুমূল্যবান হয় বা তাঁর বিলাসবহুল জীবনযাপনকে প্রতিফলিত করে। ২০১৯ সালে ভোটে অরুণাচল প্রদেশের তেজু বিধানসভা আসনে নির্দল বিধায়ক কারিখো ক্রি-র বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া একটি মামলায় এমনটাই পর্যবেক্ষণ করেছে শীর্ষ আদালত। কারিখোর ক্রির বিরুদ্ধে এক কংগ্রেস নেতার অভিযোগ ছিল, মনোনয়ন দাখিলের সময় হলফনামায় সব সম্পত্তির উল্লেখ করেননি তিনি। তাই তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বিতাকে বাতিল বলে ঘোষণা করা হয়। আবেদনকারীর আর্জিতে সাড়া দিয়ে প্রথমে গুয়াহাটি হাইকোর্ট কারিখোর নির্বাচনে লড়াইকে বাতিল ও অকার্যকর ঘোষণা করে। পাশাপাশি কারিখোকে তাঁর সব সম্পত্তি প্রকাশ্যে আনার বিষয়ে আদালত যাতে নির্দেশ দেয় সেই আর্জিও জানানো হয়েছিল । সুপ্রিম কোর্ট গুয়াহাটি আদালতের সেই রায়ই খারিজ করে দিয়েছে। বিচারপতি অনিরুদ্ধ বোস ও সঞ্জয় কুমারের বেঞ্চ গুয়াহাটির হাইকোর্টের রায় খারিজ করে। এছাড়াও পর্যবেক্ষণ কারিখোর সব সম্পত্তি প্রকাশ্যে আনার দরকার নেই। আবেদনকারীর অভিযোগ ছিল, নির্বাচনে হলফনামা জমা করার সময় করিখো ক্রি তাঁর স্ত্রী ও ছেলের মালিকানাধীন তিনটি গাড়ির কথা উল্লেখ করেননি হলফনামায়। আবেদনকারীর যুক্তি ছিল এই বিষয়টিতেই স্পষ্ট হয়েছে কারিখো প্রভাব খাটিয়েছেন ভোটে লড়াইয়ের ক্ষেত্রে। আবেদনকারী অভিযোগের ভিত্তিতে কোর্ট জানিয়েছে, যানবাহনগুলি এখনও ক্রীর স্ত্রী এবং ছেলের মালিকানাধীন বলে বিবেচিত হতে পারে না।’ কোর্টের পর্যবেক্ষণ মনোনয়ন দাখিলের আগেই এইগুলি উপহার দিয়ে দেওয়া হয়েছে বা বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে। অতএব তিনটি গাড়ির বিষয়ে হলফনামায় উল্লেখ না করে কোনও অন্যায় করেছেন এমনটা বিবেচিত হবে না। জনপ্রতিনিধিত্ব আইন ১৯৫১-এর ধারা ১২৩(২) অনুযায়ী যানবাহন প্রকাশ না করাকে একটি দুর্নীতিগ্রস্ত অভ্যাস বলে ধরে নেওয়া যায় না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!