‘অভিযানের নামে তাণ্ডব, দুষ্কৃতীদের চিনিয়ে দিন’, আর্জি কলকাতা পুলিশের

ছাত্র সমাজের নবান্ন অভিযানে বিক্ষোভকারীরা ব্যারিকেড ভেঙ্গেছে। পুলিসের উপরে আক্রমণ করেছে। পুলিসও জলকামান দেগে, টিয়ার গ্যাসের সেল ফাটিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করেছে। নবান্ন অভিযানের ধুন্ধুমার কাণ্ডে যারা হিংসা ছড়িয়েছে তাদের কয়েক জনের ছবি প্রকাশ করল কলকাতা পুলিস। গোলমালকারীদের মধ্যে মহিলাও রয়েছেন। আরজি কর হাসপাতালে হামলার ক্ষেত্রেও এরকম ছবি প্রকাশ করেছিল  কলকাতা পুলিস। পুলিসের উপরে বিক্ষোভকারীদের আক্রমণ নিয়ে এডিজি দক্ষিণবঙ্গ সুপ্রতীম সরকার বলেন, আমাদের কাছে খবর ছিল সাধারণ মানুষের আবেগকে কাজে লাগিয়ে কিছু দুষ্কৃতী একটা গোলমাল, অশান্তি পাকানোর চেষ্টা করবে। তাদের লক্ষ্য ছিল পুলিশকে বলপ্রয়োগ করতে বাধ্য করা। সংবাদমাধ্যমে দেখা গিয়েছে কোথাও পুলিসকে ফেলে মারা হচ্ছে। কোথাও তাড়া করে মারা হচ্ছে।  সুপ্রতিম সরকার বলেন বিক্ষোভকারীদের হামলায় ১১-১২ জন পুলিশ আক্রান্ত হয়েছে। আরও অনেকের খবর আসছে। নবান্ন অভিমুখি সব রাস্তায় ব্যারিকেড করা হয়েছিল। আন্দোলন কতটা শান্তিপূর্ণ ছিল তা সবাই টিভিতে দেখেছেন। আন্দোলনকারীরা এলেন উই ওয়ান্ট জাস্টিস প্ল্যাকার্ড নিয়ে। তারপর ব্যারিকেড ধরে তারা ঝাঁকাতে শুরু করলেন। পুলিশ সেইসময় লাউড স্পিকারে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের কথা বলে। তারপর ব্যারিকেড ভাঙা হল। সাঁতরাগাছি দিয়ে শুরু। পুলিসের দিকে লাঠিসোঁটা, বোতল বৃষ্টি। লাগাতার ইট পাথর বৃষ্টি হয়। পুলিসকে মারধর, গাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া হল। একে তাণ্ডব ছাড়া আর কী বলা যায়।

error: Content is protected !!