‘নাটকের জগৎ থেকে পুরস্কার ফেরানো এক ব্যক্তি বামফ্রন্টের প্রার্থী ছিলেন’ সরব ব্রাত্য বসু

আরজিকরের ঘটনায় নাট্যকার এবং শিল্পীদের পুরস্কার প্রত্য়াখ্যান নিয়ে এবার কটাক্ষ রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর। নিজের অবস্থান স্পষ্ট করেই এদিন তিনি বলেন, জাতীয় স্তরে এমন কোনও ঘটনা ঘটলে, তাঁরা কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে পাওয়া পুরস্কার ফেরাবেন কি না।আর জি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনায় বাংলার নাট্যজগতের শিল্পীদের অনেকেই রাজ্য সরকারের থেকে প্রাপ্ত পুরস্কার ফেরাতে শুরু করেছেন। সেই নিয়েই ব্রাত্য বসু এদিন বলেন, “কেন্দ্রীয় স্তরে যদি এমন কোনও ঘটনা ঘটে, তাঁদের কাছে কেন্দ্রীয় সরকারের পুরস্কার থাকলে, ফেরত দেবেন তো?” তিনি আরও বলেন, “প্রত্যাখ্যান তো করতেই পারেন! থিয়েটারের যিনি করেছেন, স্বাগত জানাই তাঁর সিদ্ধান্তকে। আমাদের নাট্য অ্যাকাডেমির পক্ষ থেকে এটুকু বলতে পারি যে, তিনি বামফ্রন্টের হওয়া সত্ত্বেও তৃণমূল সরকার তাঁর ক্ষেত্রে কোনরকম বাছবিচার করেনি। রাজনৈতিক পরিচয়ের নিরিখে তাঁর শৈল্পিক কৃতিত্ব বিচার করেনি। তিনি নিশ্চয়ই ছাড়তে পারেন, গণতান্ত্রিক অধিকার আছে তাঁর। আমরা বলতে পারি যে, আমরা তাঁর ক্ষেত্রে রাজনৈতিক বিচার করিনি| সবারই অধিকার আছে। তাঁদের উদ্দেশে কোনও তির্যক, নিন্দাসূচক মন্তব্য করব না। শুধু বলব, তাঁরা তাঁদের কাজ করেছেন। আশা রাখব, কেন্দ্রীয় স্তরে যদি এমন ন্যক্কারজনক ঘটনা এবং তাঁদের কাছে যদি কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে পাওয়া পুরস্কার থাকেন, সেগুলিও ফেরত দেবেন তাঁরা।” উল্লেখ্য, নাট্যকার চন্দন সেন রাজ্যে নাটকের সর্বোচ্চ সম্মান ‘দীনবন্ধু মিত্র পুরস্কার’ ফেরত দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন। নাট্য পরিচালক বিপ্লব বন্দ্যোপাধ্যায় পুরস্কার ফেরানোর কথা বলেন। সঞ্জিতা মুখোপাধ্যায়ও নাট্য অ্যাকাডেমির দেওয়া সেরা সহ-অভিনেত্রীর পুরস্কার ফেরান। আলিপুর দুয়ারের সাহিত্যিক, শিক্ষাবিদ পরিমল দে নিজের পুরস্কার ফেরান। রাজ্য সরকারের থেকে যে বিশেষ পুরস্কার পেয়েছিলেন, সেটা ফিরিয়ে দেন সুদীপ্তা চক্রবর্তী। সেই নিয়েই এবার সরব হলেন ব্রাত্য বসু।

error: Content is protected !!