‘দিল্লির সরকার বেশি দিন টিকবে না, বিজেপিকে গদি থেকে নামাতে দিদির পাশে লড়াইয়ে থাকব’, একুশের মঞ্চ থেকে বার্তা অখিলেশের

২১ জুলাইয়ের মঞ্চে ভাষণ দিতে উঠে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর দলের প্রশংসায় পঞ্চমুখ অখিলেশ যাদব।  জানালেন, কর্মীরাই পার্টির সম্পদ। মমতা তাঁর দলের কর্মীদের কতটা সম্মান করেন, এটাই মনে করায় আজকের দিন। অখিলেশ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর আমন্ত্রণে এসেছি। এসে দেখছি এত মানুষ! দলনেত্রীকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমায় আমন্ত্রণ জানানোর জন্য। উপস্থিত তৃণমূল নেতারা, এবং সমস্ত কর্মী সমর্থক ও সাধারণ মানুষকে আমার শুভেচ্ছা। যাঁরা শহিদ হয়েছেন তাঁদের স্মরণে শ্রদ্ধা জানাই। দুঃখে চোখের জলে ভাসলে হবে না, আমাদের মাথা উঁচু করে রাখতে হবে। সব পার্টির এমন সৌভাগ্য হয় না এমন প্রাণ উৎসর্গ করা কর্মী মেলে না। দলের জন্য প্রাণ দিতে পারেন এমন কর্মী সব দল পায় না। এ হল দিদির সৌভাগ্য। কর্মীরাই ভিত্তি দলের।” এর পরই অখিলেশ স্মৃতি বেয়ে ফিরে যান মমতার সংগ্রামের দিনে। মমতার সেই সব দিন কাছ থেকে দেখেছিলেন বলে জানান অখিলেশ। তাই মমতার ক্ষমতা সম্পর্কে তিনি সচেতন। দলের সবাইকে উদ্দেশ্য করে বলেন, “আপনাদের গর্ব করার মতো নেত্রী”। এর পরই অখিলেশ দিল্লির ষড়যন্ত্রের কথায় চলে যান। জানান, সাম্প্রদায়িক রাজনীতি চলছে। ষড়যন্ত্র চলছে তৃণমূলকে সরানোর। কিন্তু তাঁর বিশ্বাস, মমতার ক্ষমতা আছে আটকানোর। তিনি আরও বলেন, “দিল্লির সরকার বেশি দিন টিকবে না। পড়ে যাবে। এরা দিদির পেছনে পড়েছে। কিন্তু বেশি দিন পারবে না। বাংলা মোকাবিলা করবে নিজেরাই। ”ঘড়ির কাঁটা যখন ১টা বেজে ৯ মিনিট তখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এসে পৌঁছলেন সমাবেশে। সঙ্গেই ছিলেন সমাজবাদী পার্টির সুপ্রিমো অখিলেশ যাদব। তৃণমূল সুপ্রিমোর আমন্ত্রণে যথা সময়েই দেখা মিলল অখিলেশের। সকালে কলকাতা বিমানবন্দর থেকে সোজা মমতার বাড়িতেই যাওয়ার কথা ছিল অখিলেশের। সেখানেই বৈঠকের পর অখিলেশকে নিয়ে মমতা আসেন একুশে জুলাইয়ের মঞ্চে। অখিলেশ মমতাকে শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর আমন্ত্রণে এসেছি। এসে দেখছি এত মানুষ! দলনেত্রীকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমায় আমন্ত্রণ জানানোর জন্য। উপস্থিত তৃণমূল নেতারা, এবং সমস্ত কর্মী সমর্থক ও সাধারণ মানুষকে আমার শুভেচ্ছা। জারা শহিদ হয়েছেন তাঁদের স্মরণে শ্রদ্ধা জানাই। চোখের জলে ভাসলে হবে না, আমাদের মাথা উঁচু করে রাখতে হবে। সব পার্টির এমন সৌভাগ্য হয় না এমন প্রাণ উৎসর্গ করা কর্মী মেলে না। দলের জন্য প্রাণ দিতে পারেন এমন কর্মী সব দল পায় না। এ হল দিদির সৌভাগ্য। কর্মীরাই ভিত্তি দলের। একুশে জুলাইয়ের আবহে অখিলেশ যাদবের উপস্থিতি একুশে জুলাইকে সর্বভারতীয় চেহারা নিয়েছ। আমি মমতা ব্যানার্জি এর আমন্ত্রণে এসেছি।আপনাদের মুখ্যমন্ত্রী কে ধন্যবাদ জানাই। এতো ভালোবাসা আছে এখানে এটাই একটা দল কে মজুত করে।এটা সব পার্টি এর ভাগ্য নয় যাদের এতো ভালো কর্মী আছে। দিদির কর্মীরা নিজের প্রাণ এর ভয় পায় না।

error: Content is protected !!