লোকসভায় স্পিকার ওম বিড়লাকে বাউন্সার দিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার বাজেট নিয়ে সংসদের নিম্নকক্ষে আলোচনার সময় নোটবন্দী নিয়ে যখন বিজেপি সরকারকে আক্রমণ শানাচ্ছিলেন ডায়মন্ড হারবারের তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ, সেইসময় স্পিকার ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করেন যে ২০১৬ সালে নোটবন্দীর ঘটনা ঘটেছিল। তারপর তো ২০১৯ সালও পেরিয়ে গিয়েছে। আর সেই মন্তব্য শুনেই স্পিকারের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তোলেন অভিষেক। রীতিমতো কড়া সুরে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক বলেন যে বিজেপি যখন ১৯৭৫ সালের এমার্জেন্সি (জরুরি অবস্থা) নিয়ে কথা বলে, তখন চুপ করে থাকেন স্পিকার। অথচ তিনি ২০১৬ সালের ঘটনা বলতেই তাঁকে থামানোর চেষ্টা করছেন।
স্পিকার ও অভিষেকের কথোপকথন
নোটবন্দী নিয়ে ভাষণ অভিষেকের।
স্পিকার: মাননীয় সদস্য, আপনি এবারের বাজেট নিয়ে কথা বলুন। ২০১৬ সালের পর তো ২০১৯ সালও (হয়ে গিয়েছে)।
অভিষেক: স্যার, কেউ ৬০ বছর আগের (ঘটনা টেনে) জওহরলাল নেহরুর কথা বলবেন, অন্য নেতাদের কথা বলবেন, তখন আপনি কিছু বলবেন না।
স্পিকার: ঠিকই বলি।
অভিষেক: আমি আট বছর আগের নোটবন্দী নিয়ে বলতেই আপনি বলছেন যে বর্তমান বিষয় নিয়ে কথা বলুন। স্যার, এই পক্ষপাতিত্ব চলবে না।
স্পিকার: বাজেট নিয়ে (কথা বলুন)।
অভিষেক: যখন বিপ্লব দেব বলছিলেন, ১০০ বছরের পুরনো বিষয় নিয়ে কথা বলছিলেন, ৫০ বছরের পুরনো এমার্জেন্সি নিয়ে কথা বলছিলেন, তখন আপনি চুপ করেছিলেন। আর আমি যখন নোটবন্দী নিয়ে বলছি, তখন আপনার জ্বলছে!! ওয়াহ স্যার!! ওয়াহ!!
নিজের ভাষণের শেষে অভিষেক দাবি করেন, এখন সময় পালটে গিয়েছে। মোদী সরকার এখন নড়বড়ে। জোটসঙ্গীদের দাক্ষিণ্যে ক্ষমতায় আছেন মোদীরা। যে কোনও সময় সেই জোট সরকার ভেঙে চুরমার হয়ে যাবে। আর সেটা আটকাতে ভারত সরকারের টাকা নিজেদের জোটসঙ্গীদের শাসিত রাজ্যে ঢালছে বিজেপি। আর তারপর শাহরুখ খানের ‘পাঠান’ সিনেমার সেই সংলাপ ধার করে অভিষেক বলেন, ‘কুর্সি কি পেটি বাঁধ লো, মৌসম বিগাড়নে ওয়ালা হ্যা।’