মালদায় নবম শ্রেণির আদিবাসী নাবালিকা ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ, গ্রেফতার চিকিৎসক

প্রাথমিক চিকিৎসার প্রশিক্ষণ দেওয়ার নামকরে আদিবাসী নাবালিকাকে বাড়িতে ডেকে ধর্ষণের অভিযোগ এক হাতুড়ে চিকিৎসকের বিরুদ্ধে। মালদার হবিবপুর থানা এলাকায় গত বুধবার ওই ঘটনা ঘটে। গতকাল নাবালিকার পরিবারের পক্ষ থেকে হবিবপুর থানায় ওই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়। তার ভিত্তিতে অভিযুক্ত হাতুড়ে চিকিৎসক সুবল মণ্ডলকে পুলিশ আটক করেছে। সূত্রের খবর, ওই নাবালিকা স্থানীয় একটি স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্রী। ছাত্রীর অভিযোগ, প্রাথমিক চিকিৎসার প্রশিক্ষণ দেওয়ার নামে সুবোধ তাকে ফোন করে তার বাড়ির চেম্বারে ডেকে পাঠায়। ছাত্রী চেম্বারে গেলে সুবোধ তাকে ধর্ষণ করে। সূত্রের খবর, চিকিৎসকের চেম্বার থেকে কোনও ভাবে পালিয়ে বাড়ি ফেরে ওই ছাত্রী। অভিভাবকদের বিস্তারিত জানায়। অভিভাবকরা গতকাল হবিবপুর থানায় গিয়ে লিখিত অভিযোগ জানান। পুলিশ জানায়, ছাত্রীকে হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো হয়েছে। মালদা জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র আশিষ কুণ্ডু হাতুড়ে চিকিৎসকের কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়ে্ছেন। রাজ্য বিজেপির যুব মোর্চার সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিৎ রায় আদিবাসী নাবালিকার ধর্ষণের ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন। তিনিও চিকিৎসকের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। একই সঙ্গে বিজেপি যুব মোর্চার নেতার হুঁশিয়ারি, হাতুড়ে চিকিৎসকের বিরুদ্ধে পুলিশ আইনি পদক্ষেপ না করলে ও নাবালিতা সুবিচার না পেলে তাঁরা আন্দোলন শুরু করবেন। ‘আদিবাসী সেঙ্গেল অভিযান’-এর উত্তরবঙ্গের জোনাল সভাপতি মোহন হাঁসদা অভিযোগ করেন, গত এক সপ্তাহে রাজ্য জুড়ে দশ জন আদিবাসী মহিলাকে ধর্ষণ করা হয়েছে। ধর্ষণের প্রতিবাদে তাঁরা ধর্না প্রদর্শন করবেন এবং আজ রাজ্যপালের কাছে স্মারকলিপি জমা দেবেন। আদিবাসী সম্প্রদায়ের মহিলাদের ওপর যৌন নির্যাতনের প্রতিবাদে দেশ জুড়ে আন্দোলনে নামার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে বলে আদিবাসী নেতা জানিয়েছেন।

error: Content is protected !!