জমির জবরদখল রুখতে এবার একেবারে কঠোর ব্যবস্থা নিচ্ছে সরকার। ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দফতরের বহু আধিকারিককে এবার বদলি করা হল। একেবারে লাইন দিয়ে বদলি করা হয়েছে তাঁদের। নবান্নের তরফে এনিয়ে কড়া নির্দেশ জারি করা হয়েছে। এদিকে সম্প্রতি মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় এই জবরদখল নিয়ে কড়া ধমক দিয়েছিলেন। তারপরই নবান্নের তরফে এনিয়ে নানা ব্যবস্থা নেওয়া হয়। তারই অঙ্গ হিসাবে একের পর এক অফিসারকে বদলি করা হয়। সূত্রের খবর, সব মিলিয়ে ১৮০জন বিএলআরওকে বদলি করা হয়েছে। কয়েকজন রেভিনিউ অফিসারকেও বদলি করা হয়েছে। জেলায় জেলায় এনিয়ে নির্দেশ পাঠানো হয়েছে। তার ভিত্তিতে নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে। আসলে ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরে দীর্ঘদিন ধরেই কার্যত ঘুঘুর বাসা। নানা অনিয়ম চলে। শিলিগুড়ি থেকে বর্ধমান সর্বত্র এই পরিস্থিতি। বছরের পর বছর ধরে এই পরিস্থিতি চলছে। শাসকদলের নেতাদের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ। কিন্তু কেউ এনিয়ে এতদিন পদক্ষেপ নিতেন না। তবে দেরিতে হলেও এবার এনিয়ে কড়া পদক্ষেপ নিচ্ছে রাজ্য সরকার। সম্প্রতি নবান্নের মিটিংয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের রুদ্র রূপ দেখেছিল বাংলা। একেবারে নাম করে ধমক দিয়েছিলেন বাংলার মুখ্য়মন্ত্রী। মন্ত্রী সুজিত বসুর নাম ধরে ধমক দিয়েছিলেন তিনি। সেই সঙ্গেই কলকাতা- হাওড়ার রাস্তার অবস্থা নিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। মমতা বলেছিলেন, এবার কি আমাকে রাস্তা ঝাঁট দিতে বেরোতে হবে? শুধু উপর দেখলে হবে? নীচে দেখতে হবে না? রাস্তা দেখে না, আলো দেখে না। শুধু ট্যাক্স বাড়ানো আর লোক বসাচ্ছে। এছাড়া প্রশাসন কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না।মমতা বলেছিলেন, অনেক ভদ্রতা দেখিয়েছি। তার মানে এটা নয় যে গায়ের জোরে জমি দখল করবেন এট নয়। জায়গা দখল নিয়ে এতদিন অভিযোগ করতেন বিরোধীরা। এবার এনিয়ে নিশানা করেছিলেন খোদ মমতা। তিনি বলেছিলেন, কোথাও জবরদখল হলে কেন ব্যবস্থা নিচ্ছেন না? অনেকে আছেন এর মধ্যে। নাম বলে কাউকে অস্বস্তিতে ফেলতে চাই না। তবে একটা গ্রুপ তৈরি হয়েছে। খালি জায়গা দেখলেই তাঁরা লোক বসাচ্ছেন বাংলার আইডেন্টিটি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এ সবে রাজ্যের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে। মমতা বলেছিলেন, কোথাও ম্যানহোলের ঢাকনা খোলা থাকলে সেটাও খুলে নিয়ে বিক্রি করে দেন অনেকে। তার জন্য় একটা সিস্টেম কেন হচ্ছে না? কেন জল অপচয় হচ্ছে? …কেউ টাকা খেয়ে কেউ টাকা খাইয়ে এসব করাচ্ছেন। মমতার সাফ কথা, রাম শ্য়াম যদু মধু যেই হোন, আমিও যদি হই ছাড়বেন না। লোভ বেড়ে যাচ্ছে। লোভটাকে কমাতে হবে। সরকারি জমি দখল করে একের পর এক বিল্ডিং তৈরি হচ্ছে। রাজ্য সরকার নতুন রাস্তা তৈরি করেছে। তার রক্ষণাবেক্ষণও হচ্ছে না। কেন এসব হবে?
Related Posts
রাজ্যপাল পদ দিয়ে যৌন হেনস্তা আড়াল করা যাবে না, সুপ্রিমকোর্টের নির্দেশের পর বিবৃতি মুখ্যমন্ত্রীর আইনজীবীর
শ্লীলতাহানির অভিযোগে বিদ্ধ রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে তীব্র আক্রমণ করে বিবৃতি দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আইনজীবী সঞ্জয় বসু। তাঁর দাবি, সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্তে স্পষ্ট যে রাজ্যপাল এতদিন উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বিবৃতি দিচ্ছিলেন। রাজ্যপালের পদ দিয়ে যৌন হেনস্তার অভিযোগ আড়াল করা যাবে না। রাজ্যে লোকসভা নির্বাচনী আবহে গত ২ মে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ ওঠে। রাজভবনের এক অস্থায়ী […]
মুখ্যসচিবের সঙ্গে বৈঠক শেষ হতেই সল্টলেকের জুনিয়র চিকিৎসকদের আন্দোলনস্থল থেকে খোলা হল বাঁশ, সরল স্ট্যান্ড ফ্যান!
মুখ্যসচিব মনোজ পন্থের সঙ্গে জুনিয়র ডাক্তারদের একটানা আড়াই ঘণ্টা ধরে বৈঠক চলল নবান্নে। বুধবার সেই বৈঠকের পর যখন নবান্নে মিনিটস লেখার কাজ চলছে, তখন সল্টলেকের ধরনা মঞ্চের ছবিটা পাল্টাতে শুরু করেছে। মুখ্য সচিবের সঙ্গে বৈঠক শেষ হতেই সল্টলেকে জুনিয়র চিকিৎসকদের অবস্থানস্থল থেকে আসতে আসতে ফাঁকা হচ্ছে মঞ্চ। খোলা হচ্ছে বাঁশ। সমস্ত স্ট্যান্ড ফ্যান সরে গেল। […]
চিনারপার্কের কাপড়ের কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড
চিনার পার্কের দাসদ্রোনা এলাকায় একটি কাপড়ের কারখানায় আগুন লেগে লায়। শনিবার সকালে কাপড় কারখানার চতুর্থ তলায় আগুন লাগে বলে খবর। বাইরে থেকে দাউদাউ করে জ্বলতে দেখা যায় ওই কারখানা। আগুন লাগার খবর পাওয়া মাত্রই সেখানে পৌঁছয় দমকল বাহিনী। চেষ্টা চলে কারখানার আগুন নেভানোর। তবে কীভাবে কাপড়ের কারখানার আগুন লাগল তা নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। তবে […]