‘জো হামারে সাথ, হাম উনকে সাথ’, সংখ্যালঘু মোর্চাকে এবার ‘ত্যাগ’ দেওয়ার বার্তা শুভেন্দুর

একের পর এক নির্বাচনে ভরাডুবির পর, সদ্য সমাপ্ত উপনির্বাচনে মুখ থুবড়ে পড়েছে বিজেপি। বাংলায় জোড়াফুলের কাছে চার শূণ্যে গো হারান হেরেছে পদ্ম শিবির। এরপরেই বাংলার রাজনীতিতে বিজেপির ভবিষ্যত নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করছে। একদিক যখন ক্রমশ পায়ের তলার মাটি হারিয়ে ফেলছে বিজেপি, তখনই দলের অভ্যন্তরেও চলছে হারের দায় কে নেবে তা নিয়ে ঠেলাঠেলি। এই প্রেক্ষাপটেই মোদির স্লোগান ‘সবকা সাথ, সবকা বিকাশ নয়’, বরং তার বদলে স্লোগান উঠুক ‘জো হামারে সাথ, হাম উনকে সাথ’, রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর মন্তব্যে শোরগোল। সাংগঠনিক বৈঠকে এবার সংখ্যালঘু মোর্চা না রাখার পক্ষে জোরাল সওয়াল করলেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী৷ তাঁর সরাসরি অভিযোগ, সদ্য সমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনে তিনি রাজ্যের জাতীয়তাবাদী মুসলিম নেতাদের কাছে বিজেপি-কে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন৷ কিন্তু, তাঁরা তা দেননি৷ বুধবার কলকাতার সায়েন্স সিটিতে পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির বর্ধিত প্রদেশ কার্যকারিণী বৈঠকে শুভেন্দু বলেন,আমিও বলেছি রাষ্ট্রবাদী মুসলিম। আপনারাও বলেছেন সব কা সাথ, সব কা বিকাশ। আর বলব না।’ এরপরে দু’হাত জোড় করে কিছুক্ষণ চুপ করে থাকেন বিরোধী দলনেতা। তার পরে আবার আগের মতো চিৎকার করে বলেন, ‘বলব, যো হামারি সাথ, হাম উনকা সাথ। সব কা সাথ, সব কা বিকাশ বন্ধ করো।’ বক্তৃতা শেষ করেন ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি দিয়ে। শুভেন্দু এদিন তাঁর ভাষণে এটাও স্পষ্ট করে দেন গত লোকসভা নির্বাচনের মতো আগামী দিনেও সব নির্বাচনেই বাংলায় ধর্মীয় মেরুকরণের পক্ষে হাঁটতে চান তিনি। এখানেই শেষ নয়, বক্তৃতার শেষে তিনি বলেন, সংখ্যালঘু মোর্চার দরকার নেই। অর্থাৎ দলে সাংগঠনিক পরিবর্তনের ডাক দেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। একেবারে শেষে বলেন, ‘নো নিড ফর সংখ্যালঘু মোর্চা’। আপনারাও বলেছিলেন, ‘সবকা সাথ সবকা বিকাশ’, কিন্তু, আর বলব না৷ বলব, ‘জো হামারে সাথ, হাম উনকে সাথ’৷ ‘সবকা সাথ, সবকা বিকাশ’ বনধ করো। সংখ্যালঘু মোর্চার কোনও দরকার নেই।’’

error: Content is protected !!