আরজি কর কাণ্ডে নির্যাতিতার পরিবারের তরফ থেকে ইতিমধ্যেই গুরুতর অভিযোগ করা হয়েছে পুলিশের বিরুদ্ধে। এই আবহে এবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সোদপুরে সেই নির্যাতিতার বাড়ি গিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। সোমবার বেলা ১২টা ৪৫ মিনিট নাগাদ নিহত ছাত্রীর বাড়িতে পৌঁছে তাঁর বাবা, মায়ের সঙ্গে দেখা করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে তিনি মৃত চিকিৎসকের পরিবার সদস্যদের সঙ্গে কথা বলছেন। পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দেন মুখ্যমন্ত্রীর। এর আগে মৃত চিকিৎসকের পরিবারের সঙ্গে ফোনে কথা বলে স্বচ্ছ তদন্তের আশ্বাস দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তা সত্ত্বেও পুলিশের তদন্ত নিয়ে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে পড়ুয়া এবং আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের মধ্যে। এই পরিস্থিতিতে ময়দানে নামলেন স্বয়ং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । এদিকে কলকাতা পুলিশের কমিশনারকে এই মমালায় স্বচ্ছতার সঙ্গে তদন্তের নির্দেশ দিয়ে সতর্ক করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । তদন্তের কিণারা করার জন্য পুলিশকে সময়ও বেঁধে দিয়েছেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, জুনিয়র ডাক্তারদের বিক্ষোভ সঙ্গত। হাসপাতালে সুরক্ষা ব্যবস্থায় গাফিলতি ছিল কিনা খতিয়ে দেখা হবে। যেই হোক তার বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। প্রয়োজনে আমরাও শাস্তির আবেদন জানাব। রাজ্য সরকারের কোনও কিছু লুকানোর নেই। তাদের শিক্ষা দেওয়ার জন্য এই ধরনের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়ার প্রয়োজন আছে। যদিও এদিন তাপসী মালিকের মামলা, রবীন্দ্রনাথের নোবের চুরি যাওয়ার মতো বেশকিছু মামলার কথা উল্লেখ করে মমতা বলেন, ‘যদিও অনেক কেসের সুরাহা ওরা করতে পারেনি তবু মানুষের আস্থার কথা ভেবেই সিবিআইয়ের হাতে দেব।’ এর আগে রবিবার মৃতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করেছিলেন জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অফ ডক্টরস ফোরামের সদস্যরা। সেই সাক্ষাতের পরই চিকিৎসক সুবর্ণ গোস্বামী বিস্ফোরক দাবি করলেন। তাঁর অভিযোগ, মৃতার মা তাঁদের জানিয়েছেন, কেসটি ধামাচাপা দিতে পুলিশের এক উচ্চ-পদস্থ আধিকারিক তাঁদের টাকা দিতে চেয়েছিলেন। ডঃ সুবর্ণ গোস্বামী সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, ‘নির্যাতিতার পরিবার ক্ষুব্ধ কারণ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ প্রথমে ফোন করে জানান মেয়েটি আত্মহত্যা করেছেন। সেটা ওঁরা কোনও ভাবেই মেনে নিতে পারেননি। নিশ্চয়ই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের ধামাচাপা দেওয়ার কোনও বিষয় রয়েছে। নয়ত ওরা কেন আত্মহত্যার কথা বলেছিল? শুধু তাই নয়, মৃতার মা এটাও বলছেন, পুলিশের একজন পদাধিকারী ওনাদের টাকা-পয়সা অফার করেছিলেন। যা শুনে আমরা অবাক হয়ে গিয়েছিলাম। ধামাচাপা দেওয়ার না থাকলে টাকার অফার কেন করবেন? মৃতা মা এও আমাদের জানালেন, মেয়েটির তখন সৎকারও হয়নি সেই সময় টাকা পয়সা অফার করা হয়েছে। আর এখন বাড়ির লোক এই ঘটনাকে গণধর্ষণ বলে দাবি করছেন। এই ঘটনা একা করা সম্ভব নয়।’
এবার আরজি কর কাণ্ডে নির্যাতিতার বাড়িতে মুখ্যমন্ত্রী, কথা বললেন মৃত ছাত্রীর মা-বাবার সঙ্গে
![](https://bengali.citynext.in/wp-content/uploads/2024/08/cm.jpg)