ভোটে ‘নিষ্ক্রিয়’ জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থার বার্তা অভিষেকের

আজ একুশের মঞ্চ থেকেই ২০২৬ সালের বিধানসভা ভোটের প্রস্তুতি শুরু করার বার্তা দিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় । তাঁর কথায়, “২০২৬ সালের ভোটে ২০২১ এবং ২০২৪ সালের ভোটের ফলকে পেরিয়ে যেতে হবে।“ অভিষেকের কথায়, যাঁরা পুরসভা বা পঞ্চায়েতের দায়িত্বে আছেন, তাঁদের শুধু নিজের কথা ভাবলে চলবে না। কর্মীদের কথা ভাবতে হবে। এদিন দলীয় কর্মীদের স্পষ্ট বার্তা দেন, যাঁরা পুরসভা বা পঞ্চায়েতের দায়িত্বে আছেন, তাঁদের শুধু নিজের কথা ভাবলে চলবে না। কর্মীদের কথা ভাবতে হবে। ভোটের আগে আমি জেলায় জেলায় গিয়ে পর্যালোচনা বৈঠক করেছিলাম। সেই সঙ্গে বলেছিলাম, “ভোটে কে, কী রকম ভূমিকা পালন করেছে, তা পর্যালোচনা করে দেখব ভোটের পরে। বলেছিলাম, পুরসভা আর পঞ্চায়েতের ভোটের সময় আপনারা নিজেদের টিকিটের জন্য লড়বেন আর যখন লোকসভা বা বিধানসভা ভোট আসবে তখন দল আশানুরূপ ফল করবে না, তবে দল আপনার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করবে।“ তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের স্পষ্ট নির্দেশ, “পঞ্চায়েতে আপনি নিজের ভোটে খেটে জিতবেন আর লোকসভা এবং বিধানসভা ভোটের সময় ভাববেন পার্টি দেখে নেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক একটা সভা করে যাবেন, তা হলেই জিতে যাবেন! সেটা চলবে না। নিজের ভোটে যেমন পরিশ্রম করেন, তা-ই করতে হবে। যাঁরা করেননি, সেই সব পর্যালোচনার কাজ শেষ। তিন মাসের মধ্যেই পদক্ষেপ করা হবে।“ লোকসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশের পরে হত এক দেড়মাসের কী করেছেন, জানিয়ে দিলেন স্বয়ং অভিষেক। বললেন, “এই এক-দেড়মাস আপনারা আমাকে কোনও দলীয় কর্মসূচিতে দেখেননি। তার কারণ, আমি পর্যালোচনা করছিলাম। সেই পর্যালোচনার ফল আপনারা তিন মাসের মধ্যে দেখতে পাবেন। দলীয় কর্মীদের অভিষেক বললেন, কে কী কাজ করেছে তা আমি পর্যালোচনা করেছি। ভোটে কার ভূমিকা কেমন ছিল, তার পর্যালোচনা শেষ। এ বার পদক্ষেপ করা হবে।“ বাংলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি ব্যবধানে ডায়মন্ড হারবারে তাঁকে জেতানোর জন্য জনগণকে ধন্যবাদ জানালেন অভিষেক। তবে একই সঙ্গে ফের জানান, “আত্মতুষ্টির কোনও জায়গা নেই।“ তাঁর কথায়, যে সন্দেশখালির ভুয়ো ভিডিও হাতিয়ার করে বিজেপি দেশের সামনে বাংলাকে ছোট করেছে, সেই সন্দেশখালির লোকসভা কেন্দ্র বসিরহাটে প্রায় সাড়ে তিন লক্ষ ভোটে জিতেছে তৃণমূল।

error: Content is protected !!