‘মমতা দাঙ্গাবাজ, দাঙ্গা করিয়ে আমাকে হারানো হয়েছে’, বিস্ফোরক অধীর রঞ্জন চৌধুরী

“মমতা দাঙ্গাবাজ। দাঙ্গা করে আমাকে হারানো হয়েছে। রামনবমী পর্যন্ত সব ঠিক ছিল। তারপর দাঙ্গা করিয়ে ভোটের মেরুকরণ করানো হয়েছে। তথ্য দিয়ে প্রমাণ দেব। দাঙ্গার কথা প্রকাশ্যে বলা বিধায়ক নিজেই স্বীকার করেছেন যে তিনি ৪ বার মুখ্যমন্ত্রীকে ফোন করেছিলেন।” বিস্ফোরক অধীর রঞ্জন চৌধুরী। একইসঙ্গে, মমতাকে অধীরের চ্যালেঞ্জ, “সাহস থাকলে অস্বীকার করুন।” পাশাপাশি এদিন অধীর রঞ্জন চৌধুরী এও বলেন যে, “রাহুল গান্ধীকে লোকসভার বিরোধী দলনেতা করা হোক। মোদীর বিকল্প রাহুল প্রমাণ হয়ে গিয়েছে।” এবার লোকসভা ভোটে বহরমপুরেও ফুটল ঘাসফুল! ‘হাত’ শিবিরের হাতছাড়া অধীরগড় বহরমপুর। নিজ গড়েই তৃণমূলের ‘বহিরাগত’ তারকা প্রার্থী ইউসুফ পাঠানের কাছে পরাস্ত অধীর চৌধুরী। হারের জন্য অবশ্য কোনও ‘অজুহাত’ দেননি অধীর রঞ্জন চৌধুরী। হারের পর সাংবাদিক বৈঠকে এসে অধীর বলেন, ‘হেরেছি মানে হেরেছি। আমি কোনও অজুহাত দেব না। ইউসুফ পাঠান এই মুহূর্তে বহরমপুরের সাংসদ। আগামিদিনে তাঁর চলার পথ সুগম হোক। শুভেচ্ছা রইল।’ পাশাপাশি তিনি এও বলেন যে, ‘যদি রাজনৈতিক বিশ্লেষণ করা হয়, তাহলে দেখবেন পশ্চিমবঙ্গে নির্বাচন ক্রমশ একটা সাম্প্রদায়িক বিভাজনের পথে এগিয়ে চলেছে। উদার ধর্মনিরপক্ষ শক্তির জন্য পশ্চিমবঙ্গ ক্রমশ বিপজ্জনক হয়ে উঠছে।’  টানা ২৫ বছর ধরে বহরমপুর ধরে রেখেছিল কংগ্রেস। কিন্তু এবার ‘হাত’ছাড়া বহরমপুর। সেদিন অধীর আরও বলেছিলেন,’আমার কোনও অভিযোগ নেই কারও বিরুদ্ধে। আমাকে যে ভোট দিয়েছে, তাঁরা স্বাধীনভাবে মতামত প্রকাশ করেছে। আমাকে যে ভোট দেয়নি, তাঁরাও স্বাধীনভাবে মতামত প্রকাশ করেছে। মানুষের যে অধিকার, সেই অধিকার প্রয়োগ করতে পেরেছে। এটা আমাদের কাছে অনেক বড় পাওনা বলে মনে করি। আমি হেরেছি, কিন্তু ভারতজুড়ে কংগ্রেসের ইন্ডিয়া জোটের প্রার্থী জিতছে।’ তবে এদিন একেবারে মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে তোপ দেগে বোমা ফাটালেন তিনি।

error: Content is protected !!