পাঁচ তারা হোটেলে গোপন মিটিং, নবান্ন অভিযানের মহিলাদের সামনে রেখে আড়াল থেকে অশান্তির ছক!

মিছিলের সামনে মহিলা এবং ছাত্রদের রেখে আড়াল থেকে অশান্তি করা হতে পারে নবান্ন অভিযানে! এমনটাই আশঙ্কা করছে পুলিশ। পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজ নামে যে সংগঠন নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছে, তাদের রাজনৈতিক যোগ নিয়েও সংশয় প্রকাশ করা হয়েছে পুলিশের পক্ষ থেকে৷ ওই সংগঠনের এক নেতা শহরের এক পাঁচ তারা হোটেলে একজন রাজনৈতিক নেতার সঙ্গে বৈঠকও করেছেন বলে পুলিশের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে৷ তারা এ-ও মনে করছে, ওই অভিযান থেকে পুলিশকে বলপ্রয়োগ করতে উস্কানি দেওয়া হতে পারে। সোমবার একটি সাংবাদিক বৈঠক করে রাজ্য পুলিশের তরফে এডিজি (আইনশৃঙ্খলা) মনোজ বর্মা এবং এডিজি (দক্ষিণবঙ্গ) সুপ্রতিম সরকার জানিয়েছেন, তথাকথিত ‘ছাত্র সমাজ’ ওই কর্মসূচির ডাক দিলেও এর নেপথ্যে অন্য চক্রান্তের ইঙ্গিত পাচ্ছে পুলিশ। বেশ কিছু ঘটনায় তাদের সেই ধারণা আরও দৃঢ় হয়েছে। সোমবার সকালেই নবান্ন অভিযান নিয়ে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ এনেছিল তৃণমূল। দু’টি গোপন ভিডিয়ো (বঙ্গ নিউজ ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি) প্রকাশ করে রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য এবং তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ দাবি করেছিলেন, নবান্ন অভিযানে গুলি চালানো হতে পারে। এমনকি, রাজনৈতিক স্বার্থসিদ্ধির জন্য নবান্ন অভিযানে খুনও করা হতে পারে বলে অভিযোগ করেছিলেন কুণালেরা। তার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই সাংবাদিক বৈঠক করে রাজ্যের এডিজি (দক্ষিণবঙ্গ) সুপ্রতিম বলেন, ‘‘নবান্নের ওই অভিযানে মহিলা এবং ছাত্রদের সামনে রেখে পিছন থেকে অশান্তির পরিস্থিতি তৈরি করা হতে পারে বলে খবর পেয়েছি আমরা। পুলিশকে বলপ্রয়োগে উস্কানি দিতেই এটা করা হবে।’’ কারা এ কাজ করছে তা স্পষ্ট না করলেও সুপ্রতিম বলেন, ‘‘আমাদের কাছে খবর রয়েছে, নবান্ন অভিযানের ডাক দেওয়া ছাত্র সমাজের এক প্রতিনিধি রবিবারই কলকাতার এক বিলাসবহুল হোটেলে গিয়ে এক রাজনৈতিক নেতার সঙ্গে দেখা করেছেন।’’ ছাত্র সমাজের ডাকা নবান্ন অভিযানে পিছন থেকে সমর্থনের কথা জানিয়েছেন বিজেপির নেতারা। যদিও সিপিএম ওই মিছিল থেকে নিজেদের দূরে রাখছে বলেই খবর। পুলিশ অবশ্য বলেনি ছাত্র সমাজের ওই প্রতিনিধি কোন দলের নেতার সঙ্গে দেখা করেছিলেন। তবে নবান্ন অভিযানের ডাক দেওয়া ছাত্র সমাজকে নিয়ে আরও একটি তথ্য প্রকাশ করেছেন তাঁরা। সোমবার সুপ্রতিম জানিয়েছেন, নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছে যে ‘পশ্চিমবঙ্গ ছাত্রসমাজ’, তাদের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে। কারণ, পুলিশ খোঁজ নিয়ে দেখেছে, ‘পশ্চিমবঙ্গ ছাত্রসমাজ’ নামে কোনও সংগঠন আদপেই নেই বা আগেও ছিল না। ভুঁইফোঁড় ওই সংস্থা হঠাৎ জেগে উঠে কী ভাবে সোজা নবান্ন অভিযানের ডাক দিল, তা নিয়েও সন্দিহান পুলিশ।

error: Content is protected !!