‘সুপ্রিমকোর্টের বিচারাধীন বিষয় নিয়ে কখনওই লাইভ করা যায় না, ৩ দিন সাধ্যমতো চেষ্টা করলাম’, এখনও আলোচনার দরজা রাখলেন মুখ্যমন্ত্রী

আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে জুনিয়র চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় জুনিয়র ডাক্তারদের প্রতিবাদ অব্যাহত। তিন দিন ধরে নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের সঙ্গে আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসকদের বৈঠকের সম্ভাবনা তৈরি হলেও শেষ পর্যন্ত আলোচনা বৃহস্পতিবারও হল না। নবান্ন সভাঘরে ২ ঘণ্টা ১০ মিনিট অপেক্ষা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। নবান্নের দরজা পর্যন্ত এসেও বৈঠকের লাইভ সম্প্রচারের দাবি না মানায় ভিতরে ঢোকেননি আন্দোলনকারীরা। এই নাটকীয় টানাপড়েনের পর সাংবাদিক সম্মেলন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘আমি আমার মতো সাধ্যমতো চেষ্টা করলাম। এর পর যদি ওরা বসতে চায় মুখ্যসচিব, ডিজিকে বলব আপনারা বসুন। উই ওয়ান্ট জাস্টিস ফর কমন পিপল।’ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, ৩ দিন তিনি আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু সুপ্রিমকোর্টের অধীনে থাকা বিচারাধীন বিষয়ের আলোচনা কখনওই লাইভে করা যায় না। হাত জোর করে মমতা বলেন, ‘আমি ক্ষমা চাইছি বাংলার মানুষের কাছে। আপনারা ভেবেছিলেন আজ মিটে যাবে। যারা নবান্নে এর গেটে এসেও এলেন না, তাঁদের ক্ষমা করে দিলাম।’ মমতা আরও বলেন, ‘ধৈর্য ধরাটাও একটা পরীক্ষা। ধৈর্য ধরব, কিন্তু কাজে যোগ দিন। আমি জানি অনেকেই মিটিংয়ে যোগ দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু দু-তিনজন চাইছেন না। বাইরে থেকে ইন্সট্রাকশন আসছে। আমাদের হাতে এসমা আছে, সব আছে। কিন্তু আমরা এইগুলো করব না। আমরা মানবিক। আমি ২৬ দিন অনশন করেছিলাম সিঙ্গুর নিয়ে।’

error: Content is protected !!