‘সোমবারের মধ্যে মমতা পদত্যাগ না করলে, মঙ্গলবারে গুলি চললে তার দায় ওঁর,’ হুঁশিয়ারি শুভেন্দু অধিকারীর

আরজি কর কাণ্ডে প্রতিবাদে উত্তাল গোটা রাজ্যে। ‘সোমবারের মধ্যে পদত্যাগ করুন, না হলে মঙ্গলবার গুলি চললে, তার দায় মমতাকে নিতে হবে’, বললেন শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর মতে, ‘পুলিশমন্ত্রী ব্যর্থ। লাজলজ্জা নেই’। আজ, বুধবার থেকে পাঁচ দিন শ্যামবাজারে ধরনা কর্মসূচি ঘোষণা করেছে গেরুয়াশিবির। ধরনামঞ্চে তো ছিলেনই, এদিন খোলা হাওয়ার ব্য়ানারে একটি মিছিলেও অংশ নেন শুভেন্দু। ডোরিনা ক্রসিংয়ে মিছিল শেষ হওয়ার পর সংবাদমাধ্যমে মুখ খোলেন শুভেন্দু। তিনি বলেন, “সোমবারের মধ্যে পদত্যাগ করুন। নইলে মঙ্গলবার গুলি চললে, তার দায় মমতাকে নিতে হবে।” আর জি কর নিয়ে বিক্ষোভের মধ্যে বিজেপি-র তরফে মমতাকে হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়েছে। ২৭ অগাস্ট বিজেপি-র ছাত্র সংগঠন ABVP নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছে। ওই দিন মমতাকে নবান্ন ছেড়ে, বাংলাদেশের শেখ হাসিনার মতো পালাতে হবে বলে দাবি বিজেপি নেতৃত্বের।সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে আর জি কর মেডিক্যাল কলেজের নিরাপত্তার দায়িত্ব নিচ্ছে CISF. পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে হাসপাতালে এসে পৌঁছেছেন CISF-এর ডিআইজি।  হাসপাতাল এবং হস্টেলের নিরাপত্তার দায়িত্ব নেবে CISF. হাসপাতালের কোন জায়গায় কত জওয়ান মোতায়েন করতে হবে এবং কীভাবে নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা যায়, রূপরেখা ঠিক করতে কথা বলেন পুলিশ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে। ঘুরে দেখেন জরুরি বিভাগ। ১৪ অগাস্ট রাতে ভাঙচুর করা হয় এই জরুরি বিভাগেই। এ প্রসঙ্গে শুভেন্দুর বক্তব্য, “এটা রাজ্যে ৩৫৫ ধারা জারি হওয়ারই সমান। পুলিশমন্ত্রী ফেল। লাজ-লজ্জা নেই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পদত্যাগ করা উচিত। নইলে বাংলার ভয়ংকর হবে। এটা আমরা নয়, বাংলার মানুষ বলছে’। ‘কীসের পদত্যাগ’? বিরোধীদের পাল্টা নিশানা করেছেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। তিনি বলেন, ‘আমি শুভেন্দুবাবুকে বলব, উন্নাও, হাথরস, প্রয়াগরাজ যোগী আদিত্য়নাথ ইস্তফা দিয়েছিলেন? প্ররোচনা দেওয়া হচ্ছে। যাতে সরকার…বিজেপি বামেরা এলোমেলো করে দে মা, লুঠে পুটে খাই! খারাপ ঘটনা ঘটেছে, তদন্ত করছে সিবিআই। ১ গ্রেফতার হয়েছে, সেটাও কলকাতা পুলিশ করেছে। সুপ্রিমকোর্ট দেখছে বিষয়টা বলেছেন গোটা দেশের বিষয়।  সেখানে গুলি চলবে? প্ররোচনা দিচ্ছেন আপনারা। আপনারা চাইছে, এটাকে কেন্দ্র করে এমন নৈরাজ্য তৈরি করতে’। এর আগে, আরজি কর কাণ্ডে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট, সেদিনও মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবি তুলেছিলেন শুভেন্দু। বলেছিলেন, ‘গোটা পশ্চিমবঙ্গের লোককে বলব, পতাকা-টতাকা মারুন গুলি। একটাই দাবি নিয়ে নবান্নে চলুন। কেউ আসুক না আসুক, নাগরিক হিসেবে আমি আসব। দেশের নাগরিক হিসেবে, পশ্চিমবঙ্গের মানুষ। আপনারা আহ্বান করুন, সবাই রাস্তায় নেমে। নবান্ন থেকে তাড়াতেই হবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বলব আপনি স্বাধীনতা দিবসের পতাকাটা তুলুন শেষবার। ওইদিন বিকেলেবেলা ইস্তফা দিন রাজ্যপালের কাছে। সব মিটে যাবে। আপনি এটাকে থামাতে পারবেন না মিসেস মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়’। 

error: Content is protected !!