কন্যাকুমারীর বিবেকানন্দ রক মেমোরিয়ালে ধ্যানমগ্ন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা বেদে ৪৫ মিনিট থেকে তাঁর এই সাধনা শুরু হয়েছে। ১ জুন সন্ধ্যায় ধ্যান ভঙ্গ করবেন তিনি। স্বামী বিবেকানন্দ গোটা দেশ ভ্রমণের পর পরিব্রাজক রূপে কন্যাকুমারী পৌঁছে যে শিলার উপর বসে তিনদিন ধ্যান করেছিলেন, সেই শিলাতেই ধ্যানে বসেছেন নমো। প্রথম ছবি এবং ভিডিও প্রকাশ্যে আসতেই হইচই পড়ে গিয়েছে। এই ৪৫ ঘণ্টার ধ্যান চলাকালীন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী অন্ন মুখে তুলবেন না। লিক্যুইড ডায়েটের উপর থাকবেন তিনি। সে তালিকায় রয়েছে ডাবের জল, আঙুরের রস। সূত্র মারফত খবর পাওয়া যাচ্ছে, এই ৪৫ ঘণ্টা মৌনব্রত পালন করবেন নমো। ধ্যানকক্ষের বাইরে বের হবেন না। দেখা যাচ্ছে নরেন্দ্র মোদী সম্পূর্ণ গেরুয়া বসনে। হাতে রুদ্রাক্ষের মালা, কপালে তিলক। বিবেকানন্দের মূর্তির সামনে বসে ‘ওম ওম’ শব্দ উচ্চারণে চলছে তাঁর সাধনা।
বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী হেলিকপ্টারে চেপে তিরুঅনন্তপুরম থেকে ৯৭ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত কন্যাকুমারীতে পৌঁছন। সেখানেই বিবেকানন্দ মণ্ডপের ঠিক সামনে ৩০০ মিটার দূরে তাঁর হেলিকপ্টার অবতরণ করে। কন্যাকুমারী পৌঁছনোর পরই প্রধানমন্ত্রীর কনভয় রওনা দেয় ভগবতী অম্মান মন্দিরের দিকে। বিবেকানন্দ রক মেমোমরিয়াল পৌঁছনোর আগে সেখানে তিনি পুজো দেন। প্রাচীন গ্রস্থগুলিতে এই মন্দিরের উল্লেখ রয়েছে। কথিত আছে তিন হাজার বছর পূর্বে ভগবান পরশুরাম কন্যাকুমারীতে দেবীর মূর্তি স্থাপন করেছিলেন। এই মন্দিরের পুজারিরা জানিয়েছেন, এই প্রথম দেশের কোনও প্রধানমন্ত্রী দেবী কন্যাকুমারীর দর্শন করলেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে দেখা যায় মন্দিরের গর্ভগৃহ প্রদক্ষীণ করতে। ভক্তিভরে দেবী কন্যাকুমারীর পুজোও করেন তিনি। বিশেষ আরতির আয়োজন করা হয়েছিল মন্দিরে। প্রসাদও দেওয়া হয় মোদীকে। একটি উত্তরীয় এবং মন্দিরের দেবীর ফ্রেমবন্দি ছবি উপহার দেওয়া হয় প্রধানমন্ত্রীকে। বিবেকানন্দ রক মেমোরিয়ালে যাওয়ার আগে কিছুক্ষণ মন্দিরের সিঁড়িতে ভাবুক চিত্তে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায় নরেন্দ্র মোদীকে। ১ জুন মৌনব্রত ভাঙার পর তিনি তামিল কবি তিরুবল্লুভরের মূর্তি দর্শনেও যেতে পারেন।