প্রয়োজনে গুলি করা যাবে, জানাল বাংলাদেশ হাইকোর্ট

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগ সহ একাধিক দাবিতে অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। রবিবার এই অসহযোগ আন্দোলনে ঢাকার শাহবাগ সহ কয়েকটি জায়গায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। মুন্সিগঞ্জে সংঘর্ষে ২ জন নিহত হয়েছেন। মাগুড়ায় মারা গিয়েছেন ছাত্রদলের এক নেতা। রংপুর এলাকাতেও ২জন মারা গিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। এই অবস্থায় মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে সরকারি একটি সংস্থা। এছাড়াও আবার ফেসবুক এবং হোয়াটসঅ্যাপ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে, কোটা সংস্কার সহ বিভিন্ন দাবিতে আন্দোলনকারীদের ওপর সরাসরি প্রাণঘাতী গুলি না চালানোর নির্দেশ চেয়ে করা রিট খারিজ করে দিয়েছে আদালত। বাংলাদেশের কোটা সংস্কার আন্দোলন শুরুর পরে বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষোভ এবং সংঘর্ষে ২০০ জনের বেশি মানুষ মারা গিয়েছেন। হত হয়েছেন কয়েক হাজার জন। আন্দোলনকারীদের দাবি, তাদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে পুলিশ গুলি চালিয়েছে। তাদের ওপর গুলি চালানো বন্ধ করার দাবি জানিয়ে আদালতে একটি রিট আবেদন করা হয়। এদিন সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে রায় দিয়েছে আদালত। হাইকোর্ট বেঞ্চের পর্যবেক্ষণে জানানো হয়েছে, আন্দোলনকারীদের ওপর গুলি করার ক্ষেত্রে কিছু নিয়ম অনুসরণ করতে হবে। বাংলাদেশের পুলিশ প্রবিধান (পিআরবি) আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে কঠোরভাবে অনুসরণ করতে হবে বলেও জানানো হয়েছে। আইনজীবীরা জানান, পিআরবিতে বলা আছে গুলি করার আগে পুলিশকে কয়েকটি ধাপ অনুসরণ করতে হয়।জীবন রক্ষার্থে সর্বশেষ ধাপ হিসেবে পুলিশ গুলি করতে পারবে। তবে নির্বিচারে গুলি করা যাবে না। এটাই মেনে চলতে হবে বলে জানিয়েছে আদালত।

error: Content is protected !!