আন্দোলন হোক, কিন্তু বিনা চিকিৎসায় মৃত্যু মানা যায় না, অবহেলার কারণে মৃত্যু খুনের সমতুল্য: অভিষেক

বিনা চিকিৎসায় কোন্নগরের ২২ বছরের তরতাজা যুবক বিক্রম ভট্টাচার্যের মৃত্যুর খবরে উদ্বিগ্ন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনকে যুক্তিযুক্ত ও সমর্থনযোগ্য বলেও, তাঁদের কাছে তিনি আবেদন করেছেন, জুনিয়র ডাক্তাররা যেন এমন পদ্ধতিতে আন্দোলন করেন যাতে, চিকিৎসা পরিষেবার মতো গুরুত্বপূর্ণ কাজে বিঘ্ন না ঘটে। এভাবে আর কারও প্রাণ যাতে না যায়। শুক্রবার রাতে নিজের এক্স হ্যান্ডেলে এই মর্মান্তিক ঘটনার কথা পোস্ট করে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক লিখেছেন, বর্তমানে জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতি চলছে। তার জেরে প্রাণ গেল এক তরতাজা যুবকের। কোন্নগরের রোড অ্যাক্সিডেন্টের পর যার প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছিল। কিন্তু আরজি কর হাসপাতালে আসার পরেও বিনা চিকিৎসায় তাঁর মৃত্যু হল। মায়ের কাছে এই মৃত্যু যন্ত্রনার। কোনও কিছুতেই তা পূরণ করা সম্ভব নয়। অভিষেক আরও লিখেছেন, এভাবে চোখের সামনে একজন রোগীকে মারা যেতে দেখেও তাঁর চিকিৎসা না করা কার্যত তাঁকে হত্যার শামিল। প্রতিবাদ চলুক। কিন্তু তা হোক গঠনমূলক। যেখানে সহমর্মিতা এবং মানবিকতা থাকবে। বিনা চিকিৎসায় কিংবা গাফিলতিতে যাতে আর

একজনেরও মৃত্যু না হয় তা আমাদের প্রত্যেককেই নিশ্চিত করতে হবে। জানা গেছে, শনিবার কোন্নগরে যাচ্ছে তৃণমূলের প্রতিনিধিদল। স্রেফ তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বই নয়, নিহতের পরিবারের সঙ্গেও কথা বলেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। উল্লেখ্য, আরজি কর কাণ্ডে তোলপাড় । রাজপথে মিছিল, রাত দখল থেকে স্লোগান সবই দেখেছে বাংলার মানুষ। জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতি থেকে সিবিআই তদন্ত এবং মামলা চলে গিয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। এই আবহে আরজি কর হাসপাতালে কর্মবিরতি চলায় বিনা চিকিৎসায় রোগীর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ। জানা গিয়েছে, হুগলির কোন্নগরে বাইক দুর্ঘটনার কবলে পড়েন বছর ২৪-এর এক যুবক। দুই পায়ের উপর দিয়ে চলে যায় লরি! গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে প্রথমে নিয়ে যাওয়া হয় শ্রীরামপুরের হাসপাতালে। সেখান থেকে তাঁকে পাঠিয়ে দেওয়া হয় কলকাতায়। আজ, শুক্রবার সকালে আহত যুবককে নিয়ে আরজি কর হাসপাতালে পৌঁছন পরিবারের সদস্যরা।পরিবারের অভিযোগ, একবার আউটডোর, একবার এমারজেন্সি বিল্ডিংয়ে নিয়ে যাওয়া হয় যুবককে। কিন্তু ভর্তি করা হয়নি হাসপাতালে। সকাল ৯ থেকে বেলা ১২ টা পর্যন্ত পায়ে ব্যান্ডেজ বেঁধে ফেলা রাখা হয়েছিল। কোনও চিকিত্‍সা হয়নি। পরিবারের সদস্যরা এও জানান, আরজি কর হাসপাতালের তরফে তাঁদের জানানো হয়, পর্যাপ্ত ডাক্তার নেই। রোগীকে অন্য হাসপাতালে নিয়ে যেতে। কিন্তু ততক্ষণে প্রবল রক্তক্ষরণে ঝিমিয়ে পড়েছেন যুবক। শেষপর্যন্ত বেলা ১২টা নাগাদ মৃত্যু হয় তাঁর।

error: Content is protected !!