কোটা-বিরোধী ছাত্র আন্দেলনে অগ্নিগর্ভ বাংলাদেশ, মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৭, নামল আধা সেনা, বন্ধ ইন্টারনেট এবং সরকারি চ্যানেল

সরকারি চাকরিতে সংরক্ষণ-বাতিলের দাবিতে রণক্ষেত্র বাংলাদেশ। বাংলাদেশে কমপ্লিট Shut-down। সংঘর্ষে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৭। নিহতদের মধ্যে হাসান মেহেদী নামে এক সাংবাদিকও আছেন। তিনি ঢাকা টাইমসে কাজ করতেন বলে জানা গিয়েছে। তাঁর শরীরে ছররা গুলির ক্ষত রয়েছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। এছাড়া সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে, ঢাকায় এক স্থানীয় ব্যবসায়ী, এক পথচারী এক বাস চালক এবং এক রিকশাচালকেরও মৃত্যু হয়েছে। বাকিরা সকলেই শিক্ষার্থী বলে মনে করা হচ্ছে। এখনও সকলের দেহ সনাক্তও করা যায়নি। এদিন সকাল ১১টার পর থেকেই ঢাকায় আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশ ও র‍্যাবের সংঘর্ষ শুরু হয়েছিল। আহত হয়েছেন আরও বহু মানুষ।বাংলাদেশ টিভির সদর দফতরে আগুন বিক্ষোভকারীদের। যার জেরে, এদিন বিকেল থেকে বিটিভি-র সম্প্রচার বন্ধ হয়ে গিয়েছে। এদিন, স্থানীয় সময় বিকেল তিনটের দিকে বিটিভি ভবনের প্রধান দরজা ভেঙে ভিতরে প্রবেশ করেন এক দল আন্দোলনকারী। পরে তাঁরা বিটিভির ভবন চত্বরে থাকা দুটি মাইক্রোবাস ও কয়েকটি মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের মধ্যে বিটিভির দফতর ছেড়ে পালান বিটিভির কর্তা–কর্মীরা। এরপরই বাংলাদেশের সরকারি চ্যানেলে সম্প্রচার বন্ধ হয়ে গিয়েছে। পরে, বাংলাদেশি পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের শেল ও সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে আন্দোলনকারীদের সেখান থেকে সরিয়ে দেন। আন্দোলনকারীদের ডাকা বন‍ধের মধ্যেই সংঘর্ষ, নামল সেনা। অনির্দিষ্টকালের জন্য সমস্ত স্কুল-কলেজ বন্ধ রাখার নির্দেশ। অপ্রয়োজনে ভারতীয়দের বাইরে বেরতে বারণ ভারতীয় হাইকমিশনের।

error: Content is protected !!