‘বেশি উদ্ধত হওয়ার ফল, ২৪১ আসনেই থামিয়ে দিয়েছে ভগবান রাম’, মোদিকে কটাক্ষ RSS নেতার!

প্রথমে আরএসএস প্রধান মোহন ভগবত। আর এবার আরএসএস নেতা ইনদ্রেশ কুমার। এনডিএ ৩.০ সরকার গঠনের পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ফের একবার ‘বিনম্রতা’র পাঠ পড়ালেন আনএসএস নেতা ইনদ্রেশ। লোকসভা ভোটের ফলাফল নিয়ে বলতে গিয়ে আনএসএস নেতা ইনদ্রেশ বলেন,”যারা রামের ভক্ত বলে দাবি করেছিল, তারা অহংকারী হয়ে উঠেছিল। তাই এই ফল হয়েছে। অহংকারী হয়ে ওঠার জন্যই সব থেকে বড় ঘোষিত হওয়া দল হওয়া সত্ত্বেও ২৪১-এই আটকে গেছে!”  পাশাপাশি বিরোধী জোট শিবির নিয়ে আরএসএস নেতা বলেন, “তারা তো রাম বিরোধী। তাই কোনওভাবেই বিরোধী জোট ভোটে জিততে পারত না। তাই ওরা ২৩৪ আসনে আটকে গিয়েছে।” প্রসঙ্গত, এবার লোকসভা ভোটে অযোধ্যায় অপ্রত্যাশিতভাবে হেরে গিয়েছে বিজেপি। গত জানুয়ারি মাসে অযোধ্যায় রামমন্দির উদ্বোধন করেছিলেন নরেন্দ্র মোদী। তারপরেও এই হার গেরুয়া শিবিরকে স্তম্ভিত করে দিয়েছে। শুধু তাই নয়, অযোধ্যার পাশাপাশি গোটা উত্তরপ্রদেশেই হেরেছে বিজেপি।  উল্লেখ্য, এবার লোকসভা ভোটে বিজেপি ৪০০ পার করবে বলে প্রচারে দাবি করেছিল বিজেপি। কিন্তু ভোটের ফল বেরতে দেখা যায়, ২৫০-র গণ্ডিও পেরয়নি তারা। কদিন আগে নাম না করে মোদীকে বার্তা দেন সংঘ প্রধান মোহন ভগবতও। আরএসএস-প্রধান মোহন বলেন, “প্রকৃত সেবকের কখনও অহংকারী হওয়া সাজে না। মর্যাদারক্ষা করে তাঁকে চলতে হয়। কিন্তু নির্বাচনী প্রচারে সেই মর্যাদা রক্ষিত হয়নি! যিনি বাস্তবিকই সেবক, যাঁকে সত্যি-সত্যিই সেবক বলা যায়, তিনি সব সময় মর্যাদা রক্ষা করে চলবেন। যিনি সেই মর্যাদা পালন করে চলতে পারেন, তিনিই কর্মবীর। কিন্তু কাজ করার পর তাঁর মনে যেন অহংকার না আসে। তিনি যেন না বলেন, আমিই এই কাজ করেছি। অহংকার যাঁকে গ্রাস করে না, তিনিই প্রকৃত সেবক।” পাশাপাশি মোহন ভগবত আরও বলেন, “সবসময়ই দুটি পক্ষ থাকে। বিরোধীরা থাকেন। তবে তাঁরা শত্রু নন। তাঁরা প্রতিপক্ষ। তারা একটি মত জানাচ্ছেন। সেটাও সকলের জানা উচিত। কারণ মত জানানোটা তাঁদেরও অধিকার। ভোটের প্রতিদ্বন্দ্বিতার মর্যাদাটা হারিয়ে যাওয়া উচিত নয়।” একইসঙ্গে মোহন ভগবত মণিপুরের হিংসা অবিলম্বে মেটানোর বিষয়ে সরকারের উদ্যোগী হওয়া উচিত বলেও মন্তব্য করেন। কারণ এক বছরেরও বেশি সময় ধরে মণিপুরে হিংসা চলছে, মনে করিয়ে দেন তিনি। 

error: Content is protected !!