কেন্দ্রের কাছে শ্বেতপত্র প্রকাশের দাবিতে এবার সংসদে ওয়াকআউট করলেন তৃণমূল সাংসদরা। নেতৃত্বে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন সংসদে বাংলায় আবাস যোজনা ও একশোর দিনের কাজে বরাদ্দ নিয়ে শ্বেতপ্রকাশ দাবিতে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তৃণমূল সাংসদরা। শেষপর্যন্ত অধিবেশন থেকে ওয়াকআউট করেন তাঁরা। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘রাজ্যসভায় যেদিন বাজেট পরিবেশন করা হয়, তখন বলছিলেন, ১০ বছর ধরে বাংলার আমরা হাজার হাজার কোটি টাকা দিয়েছি। বাংলার সরকার সেই টাকা সঠিকভাবে ব্যবহার করতে পারেনি। আমি একটা ছোট্ট প্রশ্ন নির্মলা সীতারমণকে করেছিলাম সেদিনে যে, ২০২১ বাংলার মুখ থুবড়ে পড়ার পরে, বাংলার হারার পরে আপনি আবাস যোজনায় এবং একশো দিনের কাজে কত টাকা বাংলাকে দিয়েছেন, শ্বেতপত্র প্রকাশ করে ঘোষণা করুন। ধারাবাহিক ভাবে রাজ্যসভায় ও লোকসভা মিথ্যা কথা বলে এসেছেন। বাংলার মানুষকে বিভ্রান্ত করেছেন’। উল্লেখ্য, বাজেটে কোনও রাজ্যকেই আর্থিক বরাদ্দ থেকে বঞ্চিত করা হয়নি৷ পক্ষপাতমূলক বাজেটের যে অভিযোগ বিরোধীরা একযোগে করছিলেন, তাকে প্রত্যাখ্যান করে এ দিন সংসদে এমনই দাবি করলেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ৷ বিরোধীরা যে অভিযোগ করছে, তা বিভ্রান্তিকর বলেও এ দিন জবাবি ভাষণ দিতে গিয়ে দাবি করেছেন নির্মলা৷ যদিও কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর এই দাবিকে অসত্য বলে অভিযোগ করেছেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়৷ এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে অভিষেকের পাল্টা প্রশ্ন, ২০২১-এ বিধানসভা নির্বাচনে পরাজয়ের পর বাংলার জন্য মনরেগা এবং আবাস যোজনার মতো প্রকল্পে কেন্দ্র কত টাকা বরাদ্দ করেছে, সেই শ্বেতপত্র কেন প্রকাশ করছে না বিজেপি? বিরোধীদের অভিযোগ ছিল, বিহার এবং অন্ধ্রপ্রদেশ ছাড়া অন্য আর কোনও রাজ্যের নামই বাজেট বক্তৃতার সময় অর্থমন্ত্রীর মুখে কার্যত শোনা যায়নি৷ নির্মলা এ দিন পাল্টা প্রশ্ন তোলেন, বাজেট বক্তৃতায় কোনও রাজ্যের নাম শোনা না যাওয়ার মানেই কি সেই রাজ্যকে অর্থ বরাদ্দ করা হয়নি? নির্মলা বলেন, ‘২০০৪-০৫ সালের বাজেট বক্তৃতায় ১৭টি রাজ্যের নাম নেওয়া হয়নি৷ তার অর্থ কি ইউপিএ সরকার ওই ১৭টি রাজ্যকে কোনও অর্থ বরাদ্দ করেনি?’ কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীকে জবাব দিয়ে এক্স হ্যান্ডেলে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় অবশ্য পাল্টা লিখেছেন, ‘কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী জবাবি ভাষণে প্রায় ১০০ মিনিট ধরে একশোর উপরে মিথ্যে বললেন৷ কিন্তু একবারও বাংলার বঞ্চনা নিয়ে একটা শব্দ উচ্চারণ করলেন না৷ কেন্দ্রীয় সরকার সংসদে দাবি করেছে কোনও রাজ্যকেই বঞ্চনা করা হয়নি৷ কিন্তু ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে পরাজয়ের পর বাংলার জন্য মনরেগা এবং আবাস প্রকল্পে কত টাকা বরাদ্দ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার, ১৩৮ দিন এবং ৩৩১৯ ঘণ্টা অতিক্রান্ত হলেও সেই শ্বেতপত্র প্রকাশ করতে ব্যর্থ বিজেপি নেতৃত্ব৷’ এ দিন সংসদে বক্তব্য রাখতে গিয়েও বাংলার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের আর্থিক বরাদ্দ নিয়ে শ্বেতপত্র প্রকাশের দাবি জানান অভিষেক৷ পাশাপাশি নীতি আয়োগের বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কেন বক্তব্য রাখার জন্য পর্যাপ্ত সময় দেওয়া হল না, সেই অভিযোগ তুলেও আজ সংসদে সরব হন অভিষেক৷
Related Posts
হরিয়ানায় পরাজয়ের শঙ্কা! ভোট পিছনোর আর্জি বিজেপির
ঘোষণা হয়ে গিয়েছে হরিয়ানায় বিধানসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট। সবপক্ষই নেমেও পড়েছে ভোটের ময়দানে। এর মধ্যেই হঠাৎ ভোটের দিন পিছিয়ে দেওয়ার আর্জি জানাল রাজ্যের ক্ষমতাসীন দল বিজেপি। এজন্য তারা দ্বারস্থও হয়েছে নির্বাচন কমিশনের। আর তাতেই রাজ্যজুড়ে শোরগোল চরমে। হঠাৎ ভোট পিছনোর দাবি তোলায় কংগ্রেসের কটাক্ষের মুখে পড়েছে গেরুয়া শিবির। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ভূপিন্দর সিং হুডা বলেছেন, ‘ এ […]
‘ফলাফলে প্রভাব খাটাতে দেশজুড়ে ১৫০ জেলাশাসককে ফোন করেছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ’, অভিযোগ জয়রামের
দেশের ৫৭টি লোকসভা কেন্দ্রে চলছে অন্তিম দফার ভোটগ্রহণ। ভোট গ্রহণ শেষ হওয়ার আগেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ভয়ংকর অভিযোগ আনলেন জাতীয় কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশ। শনিবার বিকেল ৪টে ৩৬ মিনিট নাগাদ এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্ট করে এই অভিযোগ করেন কংগ্রেস নেতা। জয়রাম অভিযোগ করলেন, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ ধরে ধরে গোটা দেশের সব জেলা […]