কর্নাটকে অপহরণের পর মাদক খাইয়ে গণধর্ষণ তরুণীকে, গ্রেফতার অভিযুক্ত দুই ইনস্টাগ্রাম ফ্রেন্ড

 ফের অপহরণ করে গণধর্ষণের অভিযোগ। শুক্রবারেরই ঘটনা। প্রকাশ্যে এল এ দিন। কোচিং সেন্টার থেকে ফেরার পথে বৃহস্পতিবার সন্ধেবেলায় অসমের নগাঁওয়ে গণধর্ষণের শিকার হতে হয়েছিল বছর চোদ্দর এক কিশোরীকে। এর ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই কর্নাটকের উদুপিতে বছর চব্বিশের এক তরুণীকে অপহরণ করে মাদক খাইয়ে গণধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ। অভিযুক্তদের একজনের সঙ্গে ওই তরুণীর ইনস্টাগ্রামে পরিচয় ছিল বলে জানা গিয়েছে। পুলিশের দাবি, ওই ইনস্টা-ফ্রেন্ডই তরুণীকে দেখা করার জন্য ডেকে পাঠিয়েছিল। তার পরিণতি যে এমন ভয়ঙ্কর হবে, তা ঘুণাক্ষরেও আঁচ করতে পারেননি এই মুহূর্তে হাসপাতালে ভর্তি ওই কিশোরী। সূত্রে খবর, উদুপির কারকলা গ্রামের বাসিন্দা ওই তরুণীর সঙ্গে মাসতিনেক আগে আলতাফ নামের এক যুবকের পরিচয় হয় ইনস্টাগ্রামে। ফোনে মোটামুটি রোজই কথা হতো দু’জনের। পুলিশের একটি সূত্রের দাবি, আলতাফ প্রথমে ওই তরুণীর কাজের জায়গায় যায়। তরুণী দেখা করতে এলে আলতাফ তাঁকে আচমকা গাড়িতে তুলে নেয় বলে অভিযোগ। কিছুক্ষণ পরে অভিযুক্ত রিচার্ড কার্ডোজা নামে আলতাফের এক বন্ধু সেখানে আসে। গাড়িতে করেই তারা ওই তরুণীকে একটা নির্জন জায়গায় নিয়ে গিয়ে জোর করে বিয়ার খাওয়ায় বলে অভিযোগ। সেই বিয়ারে মাদক মেশানো ছিল বলেও পুলিশ প্রমাণ পেয়েছে বলে খবর। মাদক মেশানো পানীয় খাইয়ে তরুণীকে অচেতন করে ওই গাড়িরই ব্যাকসিটে তরুণীকে গণধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। কিন্তু অভিযুক্তরা ধরা পড়ল কী ভাবে? অসমের কিশোরীকে অভিযুক্তেরা গণধর্ষণের পরে রাস্তার পাশে ফেলে দিয়ে পালায়। কর্নাটকের এই ঘটনায় অবশ্য অভিযুক্তরা তরুণীকে তাঁর এলাকায় পৌঁছে দিতে যাচ্ছিল। রাস্তায় কয়েক জনের সন্দেহ হওয়ায় তাঁরা গাড়িটিকে আটকান এবং তরুণীকে উদ্ধার করেন। বিপদ বুঝে তরুণীকে গাড়ি থেকে নামানো মাত্র গাড়ি নিয়ে পালায় আলতাফ-রিচার্ড। পুরো ঘটনার কথা পরিবারকে জানান ওই তরুণী। তাঁরা পুলিশের দ্বারস্থ হন এবং শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় মেয়েটিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বেশি দূর পালাতে না-পেরে শুক্রবার রাতের মধ্যেই ধরা পড়ে যায় আলতাফরা। পুলিশের দাবি, গাড়িটিকে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। নির্যাতিতার বয়ান রেকর্ড করে ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে তা জমাও দেওয়া হয়েছে।

error: Content is protected !!