‘সন্দেশখালিতে অশান্তি চালিয়ে যেতে হবে, শুভেন্দু-দা টাকা ও মোবাইল দিয়ে সাহায্য করেছিল, ধর্ষণের অভিযোগও সাজানো,’ দাবি বিজেপির মন্ডল সভাপতির

মহিলাদের উপর অত্যাচারের ঘটনা সাজানো। বিস্ফোরক দাবি স্থানীয় বিজেপি নেতার। ধর্ষণের অভিযোগ সাজানো! এক ভাইরাল হওয়া ভিডিও-তে এমনই চাঞ্চল্যকর কথা বলতে শোনা গিয়েছে স্থানীয় বিজেপি নেতাকে । ভিডিও-র সত্যতা যাচাই করেনি সিটি নেক্সট। সন্দেশখালির ভাইরাল ভিডিও ঘিরে সমাজমাধ্যমে শোরগোল। নেট মাধ্যমে ভাইরাল একটি স্টিং অপারেশনের ভিডিও। বিজেপির মন্ডল সভাপতি গঙ্গাধর কয়ালের ভিডিও ভাইরাল। রাজনীতির জন্য মিথ্যে ষড়যন্ত্রের ছক করা হয়েছে। মিথ্যে অভিযোগে তৃণমূল নেতাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। দাবি সন্দেশখালির বিজেপির মন্ডল সভাপতি গঙ্গাধর কয়ালের। তৃণমূল নেতাদের গ্রেফতার না করাতে পারলে আন্দোলন করা যাবে না। শুভেন্দুদা বলেছিলেন, গ্রেফতার না করালে ভোটেও দাঁড়ানো যাবে না। শুভেন্দু অধিকারী টাকা-মোবাইল দিয়ে সাহায্য করেছেন। সন্দেশখালির বিজেপির মন্ডল সভাপতির ভিডিও ভাইরাল। সন্দেশখালির বাসিন্দা জবারানি সিংহেরও ভাইরাল ভিডিও। যদিও ভাইরাল ভিডিও-র সত্যতা যাচাই করেনি সিটি নেক্সট। বিজেপির মণ্ডল সভাপতি গঙ্গাধর কয়ালের আরও দাবি, শুভেন্দু অধিকারীর নির্দেশে সব কিছু করানো হয়েছে স্থানীয় বিজেপি নেত্রী জবারানি সিংহকে দিয়ে। এর জন্য টাকাও দেওয়া হয়েছে।  ভিডিওতে কয়ালকে বলতে শোনা গিয়েছে, সন্দেশখালির মহিলাদের বলা হত আপনারা ধর্ষণের অভিযোগ না করলে আন্দোলনের দীর্ঘতর হবে না। ওই ভিডিও ভাইরাল পর প্রবল চাপে পড়েছেন বিজেপির জেলা নেতৃত্ব। শুভেন্দু অবশ্য বলেন, ভিডিওর ব্যাপারে বিস্তারিত

বলতে পারব না। কার গলা, তা স্পষ্ট নয়। তবে গঙ্গাধর কয়ালের বক্তব্য়, চক্রান্ত করে ফাঁসানো হয়েছে। এটা সম্পর্ণ চক্রান্ত। গলার কন্ঠ তাঁরই। স্বীকার করেও চক্রান্তের তত্ত্ব গঙ্গাধর কয়ালের। গত ৫ জানুয়ারির পর লাগাতার সন্দেশখালি নিয়ে রাজ্য ও গোটা দেশ তোলপাড়। নির্যাতিত মহিলারা দেখা করে ছিলেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু-এর সঙ্গে দেখাও করেন। সন্দেশখালির ঘটনার জল সুপ্রিম কোর্টে পর্যন্ত গড়িয়ে ছিল। ঘটনায় সিবিআই তদন্তও শুরু হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী ২০২৪ এর লোকসভা নির্বাচনে সন্দেশখালি নারী নির্যাতনকে ইস্যু করেছেন নির্বাচনী প্রচারে। সন্দেশখালির প্রতিবাদী মুখ রেখা পাত্রকে বসিরহাট কেন্দ্র থেকে বিজেপি প্রার্থী করেছে। এবার বিজেপি নেতার অডিও ভাইরাল হতেই নয়া মোড় সন্দেশখালির কণ্ডে। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর তৃণমূল টুইট করে বিজেপিকে আক্রমণ শানিয়েছে। লিখেছে, তাই এভাবেই বাংলা বিরোধী বিজেপিকে চিনে নিন। পুরো ঘটনাই শুভেন্দু অধিকারীর সাজানো। বাংলা ও সন্দেশখালিকে বদনাম করার জন্য স্থানীয় লোকদের টাকা দিয়ে ‘মাস রেপস’-এর মিথ্যা ঘটনা সাজিয়েছে। ক্যামেরায়, বিজেপি নেতারা স্বীকার করেছেন যে তাদের শুভেন্দু অধিকারী এই ঘটনা তৈরির জন্য টাকা দিয়েছেন। ঝুলি থেকে বেড়াল বের হল। মোদি-শাহ, কেন্দ্রীয় এজেন্সি এবং তাদের মিত্রদের অশুভ চক্রান্ত উন্মোচন হয়েছে।

error: Content is protected !!