ফের হার রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর, আইপিএলে রেকর্ড রান সানরাইজার্স হায়দরাবাদের

সানরাইজার্স হায়দরাবাদ নিজেদের রেকর্ড ভেঙে ২৮৭ রানের পাহাড় গড়ে তুলেছিল। সেই রানের পাহাড় আর টপকাতে পারলো না রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স । আরসিবি-র লড়াই থামল ৭ উইকেটে ২৬২ রানে। ২৫ রানে ম্যাচ জিতে নিল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। দীনেশ কার্তিক মরিয়া হয়ে লড়লেও হার বাঁচাতে পারলেন না। ছম্যাচ খেলে চারটিতে জিতল হায়দরাবাদ। অন্যদিকে সাতটি ম্যাচ খেলে ছটিতেই হারতে হল বেঙ্গালুরুকে। এ দিন টস জিতে সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে ব্যাট করতে পাঠান রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর অধিনায়ক ফ্যাফ ডুপ্লেসি। সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে রানের এভারেস্টে পৌঁছে দেওয়ার আসল কারিগর ট্রাভিস হেড।বিশ্বকাপ ফাইনালে সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছিলেন ট্রাভিস হেড । সেই অজি তারকা তাঁর দুর্ধর্ষ ফর্ম বজায় রেখেছেন আইপিএলেও। ৩৯ বলে এদিন শতরান করেন হেড। আইপিএলের ইতিহাসে এটাই চতুর্থ দ্রুততম শতরান। ক্রিস গেইল, ইউসুফ পাঠান ও ডেভিড মিলারের পরেই হেড। আইপিএলে হেডের এটাই প্রথম শতরান। শতরানের পরে বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি হেড। ১০২ রানে ডাগ আউটে ফেরেন তিনি। তাঁর ইনিংসে সাজানো ছিল ৯টি চার ও আটটি ছক্কা। শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক মেজাজে ব্যাট করতে থাকেন হেড ও অভিষেক শর্মা। দলের রান যখন ১০৮, তখন অভিষেক শর্মা ফেরেন। পার্টনারশিপের সিংহভাগ রানই করেন হেড। শুরু থেকেই আরসিবি বোলারদের শাসন করতে থাকেন অজি তারকা। উদ্দেশ্য পরিষ্কার স্কোরবোর্ডে বিশাল রান তুলে আরসিবিকে প্রবল চাপে ফেলে দেওয়া। সেই উদ্দেশে দারুণ সফল হেড। অভিষেক ফিরে গেলে ক্লাসেনের সঙ্গে ফের পার্টনারশিপ গড়েন হেড। সানরাইজার্সের রান যখন ১৬৫, তখন ফেরেন হেড।  তার পরেও সানরাইজার্সের ছক্কা-চার বর্ষণ চলতে থাকে। ক্লাসেন ৩১ বলে ৬৭ রানের ইনিংস খেলেন। ২টি চার এবং ৭টি ছক্কা হাঁকান তিনি। মার্করাম (৩২) ও সামাদ (৩৭) রানের গতি অব্যাহত রাখেন। ১৯ দিনের ব্যবধানে নিজেরাই নিজেদের রেকর্ড ভাঙল হায়দরাবাদ। ২৭ মার্চ মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে ৩ উইকেটে ২৭৭ রান করেছিল প্যাট কামিন্সের দল। এদিন করল ২৮৭ রান। রান তাড়া করতে নেমে মারমুখী শুরু করেন কোহলিরাও। কিন্তু নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট পড়ায় অনেক আগেই দিগভ্রষ্ট হয় বেঙ্গালুরু। কোহলি করেন ২০ বলে ৪২। ওপেনার ডুপ্লেসির ব্যাট থেকে আসে ২৮ বলে ৬২ রানের ইনিংস। এরপরে আউট হন উইল জ্যাকস (৭), রজত পাতিদার (৯) এবং সৌরভ চৌহান (০)। দ্রুত উইকেট হারিয়ে আরসিবি নিজেদের বিপন্ন করে। বিনা উইকেটে ৮০ থেকে ৫ উইকেটে ১২২ হয়ে যায় বেঙ্গালুরু।শেষের দিকে ব্যাট হাতে মরিয়া লড়াই করলেন কার্তিক। ২৩ বলে অর্ধশতরান পূর্ণ করলেন তিনি। শেষ পর্যন্ত কার্তিক করেন ৩৫ বলে ৮৩ রান। ৫টি চার এবং ৭টি ছক্কায় সাজানো ছিল তাঁর ইনিংস। কার্তিক যতক্ষণ ছিলেন হায়দরাবাদ কিছুটা হলেও চাপে পড়ে গিয়েছিল। কিন্তু শেষরক্ষা আর হয়নি। 

error: Content is protected !!