ইস্তেহারের পরের দিনই ফের ‘এক দেশ, এক নির্বাচন’ নিয়ে বার্তা প্রধানমন্ত্রী মোদির

গত রবিবারই নিজেদের নির্বাচনী ইস্তেহার প্রকাশ করেছেস ভারতীয় জনতা পার্টি৷ ইস্তেহার প্রকাশকালে উপস্থিত ছিলেন নরেন্দ্র মোদি, অমিত শাহ, জেপি নাড্ডা, রাজনাথ সিং, নির্মলা সীতারমণের মতো নেতৃত্বেরা৷ ইস্তেহার প্রকাশের পরে তাঁদের সঙ্কল্প পত্র নিয়ে বিশদে আলোচনাও করেন মোদি৷ আর তার পরের দিনই সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে ফের ‘এক দেশ, এক নির্বাচন’ প্রসঙ্গ তুললেন তিনি৷ এদিনের সাক্ষাৎকারে মোদি বলেন, ‘‘এক দেশ এক নির্বাচন আমাদের অঙ্গীকার৷ আমরা এ বিষয়ে সংসদেও আলোচনা করেছি৷ আমরা একটা বিশেষ কমিটি তৈরি করেছিলাম৷ সেই কমিটি রিপোর্টও জমা দিয়েছে৷ এই এক দেশ এক নির্বাচনের বিষয়ে দেশের বহু মানুষই তাঁদের সমর্থন প্রকাশ করেছেন৷ অনেকেই অনেক অভিনব পরামর্শ দিয়েছেন কমিটিকে৷ সেই রিপোর্টের পরামর্শ কার্যকর করলে ভীষণভাবে উপকৃত হবে ভারতবর্ষ৷’’ নিজেদের নির্বাচনী ইস্তেহারেও বিজেপি উল্লেখ করেছে যে, এই লোকসভা নির্বাচনে জয়ী হয়ে তারা ক্ষমতায় এলে দেশে ‘এক দেশ এক নির্বাচন’এবং ‘অভিন্ন দেওয়ানি বিধি’ লাগু করবে তারা৷ ইস্তেহারে বিজেপি জানিয়েছে, এক দেশ এক নির্বাচন নিয়ে ইতিমধ্যেই গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে একটি কমিটি তৈরি করা হয়েছিল৷ দেশজুড়ে একই সঙ্গে লোকসভা এবং বিধানসভা নির্বাচন করা যায় কি না সে বিষয়েই আলোচনা তথ্যানুসন্ধান করেছে প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের নেতৃত্বাধীন কমিটি৷ কমিটি তাদের ১৮,৬২৬ পাতার রিপোর্ট গত মাসেই রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মূর্মূর কাছে জমা দিয়েছে৷ রিপোর্টে ২১, ৫৫৮ জন মানুষের মতামত নথিভুক্ত করা হয়েছে৷ যার মধ্যে ৮০ শতাংশই এক সঙ্গে নির্বাচন করার প্রক্রিয়াকে সমর্থন করেছেন৷ বিপক্ষে মত দিয়েছেন মাত্র ৪ হাজার ২১৬ জন৷

error: Content is protected !!