নির্বাচনী আচরণ বিধি আপাতত শিকেয়! মোদির ধ্যানের জেরে ৩ দিন রুজি-রুটিতে কোপ ৫ হাজার মৎসজীবীর

ধ্যানে মগ্ন প্রধানমন্ত্রী মোদি। পাহারায় দাঁড়িয়ে দু’হাজার পুলিশ কর্মী। সম্প্রচারিত হবে ধ্যানের লাইভ ভিডিয়ো। আর গোটা কর্মযজ্ঞ যখন চলছে তখন বাকি, শেষ দফার নির্বাচন। কলকাতার ভোটাররা এখনও ভাবছেন, ইভিএম এ কার নামের বোতাম চাপবেন তারা। এমন অবস্থায় কলকাতায় এসে নির্বাচনী প্রচার সেরে, স্বামী বিবেকানন্দের বাড়িতে ঘুরে গেছেন মোদি। তারপরই জানিয়েছেন, শেষ দফার আগে কন্যাকুমারির নির্জন দ্বীপ বিবেকানন্দ রক মেমরিয়ালে বসে ধ্যান করবেন। এ যেন বাঙালির বিবেকানন্দ আবেগে হালটা ঢেউ খেলিয়ে দেওয়া। ধ্যান করতে গিয়ে যাতে প্রধানমন্ত্রীর জীবন নিয়ে টানাটানি না হয়, তার জন্যে ২ হাজার পুলিশ কর্মীকে নিয়োগ করেছে সরকার। নির্বাচনী আচরণ বিধি আপাতত শিকেয়। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর এই জাকজমক আধ্যাত্মিকতার জেরে মহা সমস্যায় পড়েছেন কন্যাকুমারির মৎসজীবীরা। এক আধ জন নয়, পেটে লাথি পড়েছে ৫ হাজার মৎসজীবীর। সারাবছর তারা বিবেকানন্দ রক মেমরিয়ালের আশপাশের বিস্তীর্ণ সাগরে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করেন। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী ধ্যানে বসেছেন বলে তারা আর কেউ মাছ ধরতে যেতে পারবেন না। টানা তিন দিন সাগরে যেতে পারবেন না ৫ হাজার মৎসজীবী। সেখানে আপাতত তাদের মাছ ধরা মানা। এই তিন দিন তাদের রুজি–রুটিতে যে টান পড়বে, তার ভর্তুকি কোথা থেকে আসবে তা জানে না মৎসজীবী বা স্থানীয় প্রশাসন। ওই এলাকায় প্রায় ১ হাজার মাছ ধরার নৌকা বাঁধা রয়েছে। তিন দিন সেগুলোও অকেজো হয়ে পড়ে থাকবে সাগরের বুকে। বিবেকনন্দ রক মেমোরিয়ালের ৫ কিলোমিটার ব্যাসার্ধের মধ্যে এই তিন দিন মাছ যেন কেউ ধরতে না আসে, তার জন্য কড়া নির্দেশিকা ইতিমধ্যেই জারি করা হয়েছে। উপকূল এলাকার গ্রামগুলিতে রয়েছে কড়া পুলিশি নিরাপত্তা।

error: Content is protected !!